আবুল কাশেম রুমন,সিলেট:
সিলেটে আবারও নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিবাতের কারণে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
সিলেট শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা-সরু সব চালের দামই বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকায় ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। অথচ এর আগে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণার দাম ছিল ৪৮-৫০ টাকা ও বিআর-২৮ এর ছিল ৫৮-৬০ টাকা। এছাড়া আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট ও নাজিরশাইল। এসব চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০-৮৪ টাকায়।
এদিকে, ফার্মের মুরগির প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়। দেশী মুরগির ডিম ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছেনা। আর হাসের ডিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজন প্রতি ডিম ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ।
খোলা ময়দার দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা ময়দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি দরে। একই ভাবে প্যাকেট ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্যাকেট ময়দা শুক্রবার বিক্রি হয় ৭৫ টাকা কেজি দরে।
বেড়েছে সয়াবিন তেলের দামও। খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭২ টাকা লিটার। বর্তমানে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১৭৭ টাকা লিটার। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে তিন টাকা। অর্থাৎ ১৯২ টাকা লিটার সয়াবিন বর্তমানে ১৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাঁচ লিটার বোতলজাত যে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৩০ টাকা। গত সপ্তাহের একই বোতল বিক্রি হচ্ছিল ৯১০ টাকায়।
এদিকে এক সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, সেখানে শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন,মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেচা বিক্রি আগের চেয়ে কমে গেছে।
সিলেটের বন্দরবাজার কালিঘাট ঘুরে দেখা যায়,দাম বেড়েছে আদা-রসুনের। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকার মতো। ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি যে আদা বিক্রি করেছেন, শুক্রবার সেই আদা তারা বিক্রি করছেন ১৪০ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা ৮০ টাকা কেজি আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। একই ভাবে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া রসুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকাে কজি দরে।
এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে সবজির দামে। সবজি ভেদে দাম ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০, মুলা ৬০, শসা ৭০, করলা ৮০, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৬০, টমেটো ১২০, সিম ১৬০, পেঁপে ৩০, চিচিঙ্গা ৬০, বরবটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা কলা ৫০ টাকা হালি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
কাজির বাজার ও লাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন