আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের নদ-নদীগুলোর পানি নিয়ন্ত্রণ ও লুণ্ঠন করছে অন্য দেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন, কিন্তু সে তার জীবনীশক্তি পানির লুণ্ঠন ঠেকাতে পারছে না বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মনে করে বাংলাদেশের নদ-নদী রক্ষায় পানি লুন্ঠন ঠেকাতে হবে, ঠেকাতে হবে নদী দখল। নদী রক্ষায় প্রয়োজন দেশপ্রেম ও দায়বদ্ধতা।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) “বিশ্ব নদী দিবস” উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী রক্ষা কমিশন অনেকটা অকার্যকর। বছরে চারবার সভা হওয়ার কথা থাকলেও চার বছরে একটি হয় কি না, সন্দেহ। বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীগুলোর সমস্যা সমাধানে এই কমিশন ভূমিকা রাখতে পারত। অভিন্ন নদীর স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে আরো সচেষ্ট হতে হবে। আমাদের দেশের অনেক নদী দূষিত হচ্ছে। দূষিত নদী পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেন না।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর যতটুকু অস্তিত্ব আছে তাও আজ অসহায়। নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। নদী উদ্ধারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশও কাজে আসছে না। দেশের নদ-নদী অব্যাহতভাবে দখল হয়েছে, হচ্ছে। ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-নিরক্ষর, রাজনীতিক-ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি-সাধারণ মানুষসহ সমাজের প্রায় সর্বস্তরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অবৈধভাবে নদী দখলের সঙ্গে যুক্ত। দখলের কারণে অনেক নদী ভরাট হয়েছে, নাব্যতা হারিয়েছে। দখলের পাশাপাশি নদ-নদী ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার। দূষণে নদীর পানি ও নদীনির্ভর প্রাণবৈচিত্র নষ্ট হয়েছে। দখল ও দূষণে দেশের অনেক নদী মৃত বা মৃতপ্রায়।
তারা আরো বলেন, মনে রাখতে হবে, নদ-নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। এদেশ সোমালিয়ার মতো দুর্ভিক্ষপীড়িত এবং সন্ত্রাসকবলিত হয়ে পড়বে। তাই যে কোনো মূল্যে আমাদের নদ-নদী রক্ষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। অতীতে কে ভালো করেছে আর কে খারাপ করেছে তা দেখলে চলবে না। ইতিহাসের মর্মার্থ খুঁজে বের করতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন