তবে কি জোড়া লাগছে ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক?

বিনোদন ডেস্ক//

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি দেড় যুগের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া জুটি। এ নিয়ে তখন রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছিল তামিল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকেই তাদের বিচ্ছেদের কারণ জানতে তৎপর হয়ে ওঠেন। যদিও দক্ষিণের এই সাবেক তারকা যুগল সম্পর্ক ভাঙার বিষয়ে তখন কিছু খোলাসা করেননি। তবে নিজেদের এই সিদ্ধান্তকে ‘সম্মান’ জানাতে আহ্বান করেছিলেন সবাইকে।

সূত্রের খবর, বিবাহবিচ্ছেদের আইনি পদ্ধতি চলাকালীনই দম্পতির কোনো এক ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা ওঠে। যা সমাধানযোগ্য বলেই মনে করছে রজনীকান্ত পরিবার। সায় দিয়েছে দক্ষিণী তারকা ধানুশের পরিবারও। গুরুজনদের পরামর্শ অনুযায়ী বিয়ে ভাঙার আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বসেছেন ধানুশ-ঐশ্বরিয়া।

সম্প্রতি রজনীকান্তের বাড়িতে একটি পারিবারিক বৈঠক হয়েছে। সেখানেই পর্যালোচনার পর আপাতত ডিভোর্সের মামলা স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আবারও একসঙ্গে ভালো থাকার চেষ্টা করবেন দম্পতি।

১৮ বছর একসঙ্গে কাটানোর পর হঠাৎই যেন সুখের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। বিয়ে ভেঙে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেটমাধ্যমে নিজেরাই তখন জানিয়েছিলেন। সবার উদ্দেশে লেখেন, ‘বন্ধু হিসাবে, বাবা-মা হিসাবে এত বছর কাটানোর পর আমরা নিজেদের পথ আলাদা করতে চাইছি। নিজেদেরকে সময় দিয়ে আরও ভালো করে বুঝতে চাইছি, যে কারণে একা হওয়া প্রয়োজন। আপনারা দয়া করে আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন। এবং ব্যক্তিগত জীবন বুঝে নিতে দিন।’

সেসময় পুরো বিষয়টিকে ‘দাম্পত্য কলহ’ বলে মনে করেছিলেন ধানুশের বাবা কাসথুরি রাজা। ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স হয়নি বলেও দাবি ছিল তার।

ধানুশ-ঐশ্বরিয়া জুটি

দক্ষিণী চলচ্চিত্রের সুপারস্টার রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তকে ২০০৪ সালে বিয়ে করেন ধানুশ। তাদের দুই ছেলের নাম যাত্রা রাজা এবং লিঙ্গা রাজা।

যদিও এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ নাকি ছিল ‘অতরঙ্গী রে’ অভিনেতার সময়ের অভাব। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে ধানুশের ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকছিল না। কাজ ছাড়া কিছুই বোঝেন না তিনি, ফলে একা বোধ করছিলেন রজনীকান্ত-কন্যা। তার পরই কিছু মনোমালিন্য তাদের নিজেদের মধ্যে। অতঃপর দুটি পথ আলাদা হয়ে যেতে বসেছিল।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন