মোঃ নাসির, নিউ জার্সি, আমেরিকা থেকে-করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার আপডেট জানাতে ৪ অক্টোবর রোববার ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক ড. শন কনলি। তিনি বলেন, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই রোগের প্রকোপ ওঠানামা করে। এটাই স্বাভাবিক। প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত উন্নতির দিকে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক দলের সদস্য ড. ব্রায়ান গারিবাল্ডি বলেন, সোমবার সকালের দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো রেমডিসিভিয়ার সেবন করেছেন ট্রাম্প। আজ তিনি ভালো অনুভব করছেন। ব্রায়ান গারিবাল্ডি আরো জানান, ‘ট্রাম্প চাঙা এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট যেন খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করতে পারেন আর শয্যাশায়ী যেন না হতে হয়, সেটুকু নিশ্চিত করা। তাকে আজ যে রকম ভালো এবং সুস্থ দেখাচ্ছে, সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সোমবার সকালেই হোয়াইট হাউসে যেতে পারবেন প্রেসিডেন্ট। আর বাকি চিকিৎসাসেবাটুকু সেখানে নিতে পারবেন।’ শুক্রবার প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা কেমন ছিল সে প্রসঙ্গে সবিস্তার বলেছেন ড. শন কনলি। তিনি জানান, ‘শুক্রবার সকালে যখন আমরা প্রেসিডেন্টের পাশে গেলাম, তখন তিনি বিছানায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। শরীরে জ্বরের মাত্রাটা ছিল বেশি। অক্সিজেনের মাত্রাটা ৯৪ শতাংশের নিচে ওঠানামা করছিল।’ ড. শন কনলি বলেন, ‘অবস্থা দ্রুতই আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলাম। আমি এবং চিকিৎসক দলের সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছিলাম অক্সিজেন নিতে রাজি করাতে কিন্তু তিনি তা নিতে বারণ করেন। প্রেসিডেন্ট জানালেন যে তার অক্সিজেন নেওয়ার মতো কোনো অবস্থা তৈরি হয়নি।’ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বলছিলেন, তার কোনো শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল না। জ্বরের জন্য ক্লান্তি বোধ হচ্ছিল। এটু্কুই ছিল সেদিনের ঘটনা, আর কিছু নয়। মিনিটের ব্যবধানেই প্রেসিডেন্টের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয় বলে জানান এই চিকিৎসক। ড. শন কনলি আরো বলেন, এ রকম অবস্থা বজায় ছিল এক ঘণ্টার মতো। এরপর আর কোনো সমস্যা হয়নি। এরপর দিনের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট নিজেই বিছানা থেকে উঠে রুমে পায়চারি করেছেন। সংক্রমণের মৃদু প্রকোপ ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন