ব্যাপক রুশ হামলার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের ঘোষণা ন্যাটোর

gbn

আন্তর্জাতিক ডেস্ক//

ইউক্রেনের ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন মিত্র দেশগুলো কিয়েভে উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই ঘোষণা দিলো ইউক্রেনের ন্যাটো মিত্ররা। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ড ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার রয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এছাড়া জার্মানির একটি হাই-টেক সিস্টেম ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে রয়েছে।

বিবিসি বলছে, বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে ইউক্রেনের ৫০টি দেশের মিত্ররােএকটি বৈঠকে মিলিত হয়। আর সেখানেই রুশ আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য অস্ত্র সহায়তার এই অঙ্গীকার করা হয়। কিয়েভ এই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া সোমবার এবং মঙ্গলবার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং কয়েক ডজন ড্রোন ব্যবহার করেছে। এসব হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো এবং অন্যান্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে রুশ সেনারা।

গত সোমবার রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রথম দিনে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং একইসঙ্গে পানি সরবরাহও বিঘ্নিত হয়েছে। এছাড়া রাজধানী কিয়েভের কর্তৃপক্ষকে বিদ্যুতের রেশনিং চালু করতে হয়েছিল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা বুধবার ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টল্টেনবার্গ বলেন, ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

স্টল্টেনবার্গ আরও বলেন, ন্যাটোর মিত্ররা কিয়েভকে এই বার্তা দিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনকে ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন সমর্থন দিতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ‘তাদের সাহস আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। পুতিন যুদ্ধকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এটি চমৎকারভাবে কাজ করেছে।’

এর আগে জি-৭ নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, তারা জেলেনস্কির পাশে আছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তারা বলেছেন, ‘নিরপরাধ বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচারে মস্কোর হামলা যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে গণ্য হবে।

পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির মধ্যে জি-৭ বলেছে, মস্কো যদি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে তবে তা ‘মারাত্মক পরিণতি’ বয়ে আনবে। তবে হুমকি-ধামকি দিলেও ইউক্রেনে সরাসরি সামরিক সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিচ্ছে না জি-৭।

ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, গত শনিবারের ট্রাক বোমা হামলার সরাসরি প্রতিক্রিয়ায় এ সপ্তাহে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেটি রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে ক্রিমিয়া দ্বীপের সঙ্গে সংযোগকারী কৌশলগত কের্চ ব্রিজের কিছু অংশ ধ্বংস করে দেয়। ২০১৪ সালে এই দ্বীপটি দখলে নেয় রাশিয়া।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন