আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
টানা প্রায় আট মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একঘরে করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বহু দেশ উঠেপড়ে লাগলেও যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে এগোচ্ছেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংস্থার সম্মেলনে যোগ দিতে কাজাখস্তানে পৌঁছেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কাজাখ সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংস্থার সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানে পৌঁছেছেন।
এখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানসহ এশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতার সাথে বৃহস্পতিবার কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
সম্মেলনের পাশাপাশি তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কাজাখস্তানে পুতিনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা স্পুটনিক বলছে, কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) একটি বহুজাতিক ফোরাম। ১৯৯২ সালে সংস্থাটি কাজাখস্তানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- এশিয়ার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সংলাপ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা।
২০২০-২০২২ সালে কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়ার সভাপতির দায়িত্বপালন করে কাজাখস্তান। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সিআইসিএ’র ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগের শীর্ষ সম্মেলনটি ২০১৯ সালে তাজিকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়।
স্পুটনিক বলছে, মোট ২৭টি আঞ্চলিক দেশ সিআইসিএ’র সদস্য। এছাড়া এই ফোরামে আরও আটটি দেশ ও পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে সিআইসিএ’র সদর দপ্তর আস্তানায় অবস্থিত।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন