আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেট জুড়ে প্রতিদিন বাড়ছে অপমৃত্যর সংখ্য। আর অপমুত্যু ঘটনায় থানায় মামলা হলে শুধু থানায় থাকে ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয় না জোরালো তদন্ত হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গলায় ফাঁস দিয়ে কিংবা বিষপানে আত্মহত্যা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, মাটি বা পাহাড়চাপা পড়ে মৃত্যু, বজ্রপাতে মৃত্যু,ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে মৃত্যু, দুর্ঘটনায় অথবা সন্দেহজনক মৃত্যু হলে থানায় অপমৃত্যু হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। গত এক মাসে সিলেট মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ৩৩টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। জেলা পুলিশের মিডিয়া শাখা জানায়, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জেলায় আত্মহত্যা করছে ৩৯৬ জন। ২০২২ সালে দশ মাসে জেলায় ৯৯টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে গত ১ সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট জেলা ১১টি থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ২০টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অপরদিকে এসএমপি’র মিডিয়া শাখা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মহানগরীর ৬টি থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মোট ১৩টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এসব ঘটনার বেশির ভাগই আত্মহত্যার ঘটনা। জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক থানার ওসি জানান, মৃত্যু বা খুনের প্রকৃত কারণ আপাতত ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না হলে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ২৯৯ অনুযায়ী আত্মহত্যা কিংবা সন্দেহজনক মৃত্যুও ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৭৪ ধারায় অপমৃত্যর (ইউডি) মামলা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে পাঠায়। আদালত সবকিছু দেখে যথাযথ নির্দেশ দেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, অপমৃত্যুর মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কোনো সুযোগ নেই। অপমৃত্যু মামলাকে নিয়মিত মামলার মতো গুরুত্বসহ তদন্ত করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে পরিকল্পিত হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা সচল করা হয়। নেতিবাচক কিছু না পেলে মামলাটি নিষ্কিয় করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন