জিবিনিউজ24ডেস্ক//
পাকিস্তানে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার (১৬ অক্টোবর) এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে সাতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছয়টিতে জয়লাভ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) এই প্রধান।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান খান বেশ সোচ্চার এবং উপনির্বাচনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জয় আগাম ভোট নিয়ে দেশটির ছয় মাস বয়সী সরকারকে বেশ চাপের মধ্যে ফেলবে।
ব্লুমবার্গ বলছে, রোববার পাকিস্তানে আটটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আট আসনের মধ্যে ইমরান খান সাতটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ছয়টিতে জয়ী হন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপনির্বাচনে সকল ভোট গণনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) বাকি দু’টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া রোববার অনুষ্ঠিত পাঞ্জাব প্রদেশের দু’টি আসনের উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে ইমরান খানের দল।
সংবাদমাধ্যম বলছে, উপনির্বাচনে ছয়টি আসনে জয় পেলেও পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তার জয়ী আসনগুলোর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো থেকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সেখানে আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাবেক এই ক্রিকেট তারকার এই জয় এটিই বোঝায় যে, ২২ কোটিরও বেশি মানুষের দেশের ভোটাররা ইমরানের রাজনৈতিক অবস্থানকে সমর্থন করছেন।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেট তারকা চলতি বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইমরান পাকিস্তানজুড়ে সমাবেশ করছেন এবং সেসব সমাবেশে বিশাল সংখ্যক মানুষও অংশ নিচ্ছেন।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমি সরকার ও সংস্থাকে জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করতে এবং অবিলম্বে দেশে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা সরকারের সাথে নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
অবশ্য ইমরান খানের কাছ থেকে ক্ষমতা নেওয়ার পর পাকিস্তানে শেহবাজ শরিফের সরকার অর্থনৈতিক দুরবস্থায় ভুগছে। মুডিজ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে এবং পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যাও পাকিস্তানের সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের পর গত এপ্রিলে ইমরান খানের দলের ১৩১ জন সংসদ সদস্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এতে করে ফাঁকা হওয়া সেসব আসনেই এখন ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত ফাকা হওয়া আসনে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন হচ্ছে।
আর এসব নির্বাচনে যদি ইমরান খান ব্যাপক জয় পান, তাহলে সেটি তার সমর্থকদের ভালোভাবেই উৎসাহিত করবে।
এর আগে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল ইমরান খানের পিটিআই। গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পাঞ্জাবের ওই উপনির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয়লাভ করে ইমরানের দল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন