ইমরানকে দেখলেই ‘ঘড়িচোর’ স্লোগানের নির্দেশ পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

  জিবিনিউজ24ডেস্ক// 

পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানকে দেখা মাত্রই  ‘ঘড়ি চোর’ স্লোগান দিতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলটির জেষ্ঠ্য নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

আগাম নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত ৭ দিনের লংমার্চ শুরু করেছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরান খান নিজে এই লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

শনিবার জিও টিভি পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে রানা সানাউল্লাহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইমরানের সাম্প্রতিক তোষাখানা মামলার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পিএমএল-এন কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— এখন থেকে যেখানেই ইমরান খানকে দেখা যাবে, সেখানেই যেন তারা ‘ঘড়ি চোর’ স্লোগান দেয়।’

সম্প্রতি তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান খান। মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে উপহার হিসেবে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের সরকার প্রধান ও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিসের ৫৮টি বাক্স উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন।

পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা বা সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা বিদেশিদের কাছ থেকে কোনো উপহার পেলে তা অবশ্যই রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দিতে হবে। পরে তোশাখানা থেকে এসব উপহার তারা কিনে নিতে পারবেন।

কিন্তু ইমরান খান এই নিয়ম যথাযথভাবে মানেননি বলে উল্লেখ করে মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি উপহার সামগ্রী তিনি তোশাখানায় জমা দেননি এবং গোপনে বিক্রি করেছেন। উপহারের মধ্যে কিছু দামি হাতঘড়িও ছিল, যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ২০ লাখ রুপি।

চলতি বছর এপ্রিলে পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক বিরোধী নেতা ও পিএমএল-এনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল পিএমএল-এন বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারেরও বৃহত্তম শরিক।

পিএমএল-এন ও তার রাজনৈতিক মিত্রদের বরাবরই ‘চোর’ বলে অভিহিত করেন ইমরান খান।

শনিবারের সাক্ষাৎকারে রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে ‘চোর’ উল্লেখ করা ও তাদের বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা ছড়ানোর মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রমাণিত যে তিনি (ইমরান খান) কেবল ঘৃণার রাজনীতিই জানেন।’

‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চাইতে মৃত্যু শ্রেয়— এমন কথাও তিনি বলেছেন।’

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন