,বন্ধু'র সাথে বেড়াতে গিয়ে অপর বন্ধু ৩০ দিন ধরে নিখোঁজ! টাকা নিয়েও ফেরত দেয়নি নবীগঞ্জের ফয়েজকে

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ||

জাকির ও ফয়েজ তারা দুই বন্ধু। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয় তারা মার্কুলি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রাত ১২টার দিকে জাকির তার বন্ধু ফয়েজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমনকে ফোন করে জানায় ফয়েজ নিখোঁজ। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ খবর দিয়ে পরদিন শনিবার সকালে আবার বলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ফয়েজ কোন দিকে পালিয়ে গেছে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তোমরা মার্কুলির রতনপুর তাড়াতাড়ি এসো আমি হাওয়রে আছি। এতে তাৎক্ষণিক ভাবে জাকিরের দেয়া তথ্যমতে সেখানে গিয়ে ফয়েজের জুতা ও মোটরসাইকেল পাওয়া যায় এক বাড়ীতে। কিন্তু ফয়েজকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই জাকির হোসেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে আত্ম গোপনে চলে যায়।

নিখোঁজ ফয়েজ ও প্রতারক বন্ধু জাকির হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার পুত্র মোঃ ফয়েজ আহমদ (২৩) ও বাদে রায়ঘর গ্রামের আতা মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন (২৫)।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, জাকির মার্কুলি গেলেও ফয়েজ কিন্তু যায়নি। জাকিরের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও লুকোচুরি খেলায় ফয়েজের পরিবার সন্দেহ করছেন টাকা অথবা অদৃশ্য কারণে ফয়েজকে জাকির ও তার ভাগিনার সহযোগিতায় গুম করে দুষ্কৃতিকারীরা৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত উৎঘাটন সহ অপরাধীদের ধরতে ২৪ ঘন্টা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

অপরদিকে, নবীগঞ্জ থানায় তাদের দু’টি পরিবারিক নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরীও রয়েছে। এবং বানিয়াচং থানায় জাকির হোসেন ও তার ভাগিনা সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন, ফয়েজের ভাই কয়েছ আলী ইমন।

নিখোঁজের আজ ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ফয়েজকে পাওয়া যায়নি! গতকাল বিকালে নিখোঁজ ফয়েজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমন কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই নিখোঁজের পর থেকে আমার মা, পরিবার/পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে নানান দুঃচিন্তা বিরাজ করছে। আমাকেও হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমার ভাই ফেরত দেবে বলে আমার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে ফেরত দেয়নি।আমার ভাইয়ের বন্ধু জাকিরকে গ্রেফতার করলেই ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তার মোবাইল নাম্বার সহ যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ওয়ারসাপের মাধ্যমে টাকার নেওয়া দেওয়ার কথা হয়। তার ডকোমেন্টও দেখান তিনি। টাকা নেওয়ার পরও ফয়েজকে তারা ফেরত দেয়নি। বরং ইমন আলীকে আরো নানান হুমকি ধামকি দিয়ে বলে বেশী চালাকি করলে তর ভাইয়ের লাশ নবীগঞ্জে পাবে।

এ ব্যাপারে কয়েছ আলী তার ভাই নিখোঁজ ফয়েজকে ফেরত পেতে দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাষনের উধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন