জিবিনিউজ24ডেস্ক//
সবচেয়ে কম সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে এবারের জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ। ডিজিটালের ছোঁয়ায় মাত্র ২৯ দিনের মধ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ সম্পন্ন করে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আওতাধীন এই প্রকল্পটি। এতো কম সময়ে জনশুমারি ও গৃহগণনা করে এবার তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের অ্যাওয়ার্ড পেলো জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প-২০২২।
বিবিএস জানায়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের নেতৃত্বে বিবিএস মহাপরিচালক মতিউর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব ড. দীপঙ্কর রায় এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ মোট পাঁচজনের টিমকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। টিমের পক্ষ থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বেসিস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এসময় বিবিএস ডিজি মো. মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা টিম দেশের সফটওয়ারে ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এতো কম সময়ে জনশুমারি করা সম্ভব হয়নি। আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এবার মাত্র ২৯ দিনে শুমারির প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে পেরেছি।
জানা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার জনসংখ্যা গণনা হয় ১৯৭৪ সালে। ১৯৮১ সালে হয় দ্বিতীয়বার জনসংখ্যা গণনা। এরপর ১০ বছর পরপর ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে জনসংখ্যা গণনা করা হয়। প্রতিটি শুমারির ফল পেতে লেগেছিলো ছয় থেকে সাত মাস। সবচেয়ে কম চার মাস সময় লেগেছিল ২০১১ সালে। তবে এবার সব চিত্র বদলে গেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মাত্র ২৯ দিনেই মিলেছে জনসংখ্যার হিসাব। একে ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম সুফল হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, এবারই প্রথম বিশাল পরিসরে ডিজিটাল জনশুমারি হয় দেশজুড়ে। শুমারির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ও জিও কোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত ও শুমারিতে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিজিটাল ম্যাপ ব্যবহার করে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কর্মী নির্ধারিত এলাকার তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ডিজিটাল এ শুমারি বাস্তবায়নে ব্যবহার হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়া সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে কালিয়াকৈরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের টায়ার-আইভি সিকিউরিটি সমৃদ্ধ ডেটা-সেন্টার ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান মো. দিলদার হোসেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন