জিবিনিউজ24ডেস্ক//
অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ রোধ করতে আরও কঠোর নীতি নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে ব্রিটেনের সরকার। দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক মঙ্গলবার বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে অভিবাসনমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীরা এভাবে জোয়ারের মতো আমাদের দেশে প্রবেশ করতে থাকবে, আর আমরা চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকব— তা হতে পারে না।’
‘অবৈধ অভিবাসীরা যেন যুক্তরাজ্যে প্রবেশের সাহস না পায় এবং যারা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে ঢুকে পড়েছে, তাদেরকে ফেরত পাঠাতে আমাদের আরও কঠোর নীতি নেওয়া প্রয়োজন।’
ইউরোপ মহাদেশভূক্ত দেশ হলেও মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় যুক্তরাজ্য। ইউরোপের মূল ভূখন্ডস্থিত দেশ ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যকে পৃথক করেছে ইংলিশ চ্যানেল নামের ছোট ও সংকীর্ণ একটি সাগর। এই সাগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার।
বিশ্বের অন্যান্য সাগরের তুলনায় আকার-আয়তনে ছোট হলেও যাতায়াতের পথ হিসেবে বেশ বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল। ভৌগলিক কারণেই বছরের অধিকাংশ সময়ে ঝড়ো আবহাওয়া থাকে এ সাগরে।
কিন্তু এই সাগর দিয়েই প্রতিবছর ফ্রান্স থেকে বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী পাড়ি জমান ব্রিটেনে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে এত বেশি সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী প্রবেশে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন দেশটির অভিবাসনবিরোধী জনগোষ্ঠী। দু’দিন আগে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জেলা কেন্টের উপকূলীয় শহর ডোভারে ম্যানস্টোন নামের অভিবাসী কেন্দ্রে বোমা হামলাও হয়েছে।
আবার ব্রিটেনের একাধিক মানবাধিকার কেন্দ্র অভিযোগ তুলেছে, অভিবাসী কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, তাদের খাদ্য ও ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ও শীতবস্ত্রও দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছেন রবার্ট জেনরিক। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘প্রতিদিন যদি হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে থাকে, সেক্ষেত্রে সবার জন্য খাদ্য, শীতবস্ত্র ও আবাসনের ব্যবস্থা করা অসম্ভব একটি ব্যাপার।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন