জিবিনিউজ24ডেস্ক//
আর্থিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে তার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা সংস্কারের শর্ত অন্যতম। এসব শর্ত পূরণ করতে বিদ্যুতে ভর্তুকি বন্ধ কিংবা কমিয়ে আনবে সরকার। এ অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প থাকবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতির ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ, ব্যয় ও বাজেটের সামঞ্জস্য, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি সমন্বয়ে চলতি বছরের জুলাই মাসে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার আবেদন করে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন একটি দল গত ২৬ অক্টোবর থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে। বৈঠকে তারা ভর্তুকি খাতে সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা, আমদানির জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি করা ইত্যাদি।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আইএমএফের ঋণ পেতে এই শর্তগুলো স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। বাকি শর্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইএমএফ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি সেক্টরের ভর্তুকির পরিসংখ্যান, জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে জ্বালানি আমদানির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
আইএমএফের মতে, ভর্তুকির বড় একটি অংশ বরাদ্দ দেওয়া হয় ঋণ থেকে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে এনে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন