জিবিনিউজ24ডেস্ক//
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাদের বিচারের কাজও হচ্ছে; অনেকের শাস্তি হয়েছে, ভবিষ্যতে অনেকের হবে। কিন্তু যারা হুকুমদাতা, তাদের কথা আপনারা ভেবে দেখেন। যারা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে, এদের মানুষ কীভাবে সমর্থন করে তা জানি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই আহ্বান থাকবে দেশবাসীর কাছে, কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় সুস্থ রাজনীতি করুক, কিন্তু আমার সাধারণ মানুষের গায়ে হাত দিলে তাদের রক্ষা নেই। এটা সহ্য করা যায় না। এটা কখনো মানুষ সহ্য করতে পারবে না।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ : বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে, এই ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে না পারে। দল-মত যাই হউক, প্রত্যকটা মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে। সেই অধিকার সংরক্ষণ করাটাই আমাদের দায়িত্ব। আমরা সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণে, মানুষের মঙ্গলে। আমার দেশের মানুষ খেয়ে-পরে ভালো থাকবে, শান্তিতে থাকবে, উন্নত জীবন পাবে, যেটা আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ করাই ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমি কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যা যা করার করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্টে ঘাতকের দল যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা এদেশের মানুষ হত্যার যাত্রা শুরু করে। আমার মনে হয় যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে অত্যচার করেছে, তার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। ’৭৫ সালের পর আমাদের সেনাবাহিনীতে ১৯ থেকে ২০টা ক্যু হয়েছে। সেনা অফিসার, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের পরিবার লাশও পায়নি; কারণও জানতে পারেনি; বিচারও হয়নি। ফাঁসি দিয়ে, গুলি করে অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা দিনের পর দিন চলেছে এ দেশে।'
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন