জিবিনিউজ24ডেস্ক//
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে কে বা কারা, কোথায়, কেন হত্যা করেছে সেসব কোনো প্রশ্নেরই জবাব এখনও মেলেনি। ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর একটি মামলা হয়েছে, মামলাতে আসামি করা হয়েছে তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাকেও।
তবে এই বুশরার সম্পর্কে ফারদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না সে বিষয়টিও এখনও পরিষ্কার নয়। বুশরাকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ফারদিন হত্যার মোটিভ এখনও জানা যায়নি। আমরা জানার চেষ্টা করছি। এছাড়া বুশরার সঙ্গে ফারদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তাও জানা যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বুশরার সঙ্গে ফারদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরায় বুশরাকে বাসায় নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন