যশোরে ৪৮০০ বর্গফুটের মঞ্চে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

ইয়ানূর রহমান ||

আগামী ২৪ ডিসেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা
জনসমুদ্র করতে ও সফলভাবে সম্পন্নের জন্য চলছে নানা প্রস্তুতি। আইন
শৃঙ্খলাবাহিনী, সিভিল প্রশাসন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা
ব্যস্ত সময় পার করছেন। মঞ্চ প্রস্তুত থেকে শুরু করে জনসভায় লোকজন
সুষ্ঠুভাবে আসার লক্ষ্যে নানা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

এদিকে, যশোর জেলা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ক্রিকেট প্যাভেলিয়নের দোতলায়
মঞ্চ হবে। এখানে নৌকার আদলে করা মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন।
মঞ্চটি নৌকা আকৃতির ৮০ বাই ৬০ ফুটের মাপে তৈরি হবে। যা হবে ৪ হাজার ৮শ’
বর্গফুটের নৌকার মাপে। শনিবার সার্কিট হাউজে জনসভার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা
শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ।

জনসভা স্মরণকালের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে পরিণত করতে যশোর স্টেডিয়ামের উত্তর
পাশের দেয়াল ভেঙে আব্দুর রাজ্জাক কলেজের মাঠকে সংযুক্ত করে জনসভাস্থল বড়
করা হয়েছে। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিদের বক্তব্য দেয়ার স্টেজসহ
জনসমাগম হয়ে জনসভাকে সফল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা আওয়ামী
লীগের উদ্যোগে এ কাজ করা হচ্ছে। একাজে নেতাকর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ
প্রশাসন।

এদিকে জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রস্তুত বলে
জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি
জানান, জনসভায়  যশোর জেলার ৫ লক্ষের বেশি মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ
করবে। এ সরকারের আমলে কি পেয়েছে, আগামীতে কি পাবে  সেটা তারা
প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে শুনবেন। এরই সাথে নানা কার্যক্রম শুরু করেছে
যশোর পৌরসভা। কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে রাস্তার ধারের অবৈধ স্থাপনা
উচ্ছেদ, বৈদ্যুতিক পোস্টে বাল্ব লাগানো, বিভিন্ন প্যানা অপসারণ, দেয়ালে
লাগানো বিভিন্ন পোস্টার উঠানো ও মশা নিধনের জন্য স্প্রে কার্যক্রম।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর স্টেডিয়ামে
জনসভা উপলক্ষে আরবপুর রেললাইনের কাছ থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম পর্যন্ত
রাস্তার ধারের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখান থেকে স্টেডিয়াম
পর্যন্ত আর আশপাশে রাস্তার লাইট পোস্টে নতুন বাল্ব লাগানো হয়েছে। জনসভার
মাঠে করা হয়েছে মশা নিধনের জন্য  আকিক ওষুধ স্প্রে । চলছে শহরের বিভিন্ন
ধরনের প্যানা অপসারণ ও দেয়ালে লাগানো বিভিন্ন কোম্পানীর পোস্টার। রাস্তা
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এতে করে যেন পাল্টে গেছে
শহরের চেহারা।

পৌরমেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ জানান, আমরা এসব কার্যক্রম করে
যাচ্ছি। যাতে করে সুন্দর পরিবেশে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বক্তব্য রাখতে পারেন। এছাড়া শহরের শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন
মোড়ে তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে।

শনিবার স্টেডিয়ামের জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি,
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ জেলা
প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন  কর্মকর্তাবৃন্দ। মাঠে আরো উপস্থিত
ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের  সহসভাপতি ও পৌরমেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী
খান পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা
চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, উপপ্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবীর
বিজু,সদস্য কামাল হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ
হাসান বিপু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদফতর সম্পাদক শফিকুল আলম
পারভেজ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন, সাবেক উপজেলা
ভাইসচেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুলসহ নেতৃবৃন্দ। জনসভা সফল করতে জেলা
ছাত্রলীগ শহরে প্রচার মিছিল করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন