দেশের রাজনীতি এখন পথহারা। দু:খজনক হলেও সত্য যে, রাজনীতিবিদদের হাতে এখন আর কোন ক্ষমতা নেই। রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ এখন এক অদৃশ্য শক্তির হাতে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী একটি ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তি, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সংগ্রাম করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দুর্নীতি ও দুবৃর্ত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) তোপখানার শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজরুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন স্বাধীনতার পদকপ্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম শাহীন, সম্পাদক জীবন নাহার সীমা, ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, শ্রম সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সম্পাদক আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
স্বাধীনতার পদকপ্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দিন আহমেদ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে গণশক্তি গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
অন্যান্য আলোচকবৃন্দ বলেন, আকাশছোঁয়া স্বপ্ন, দিগন্ত বিস্তৃত প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজ সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ধ্বংসের পথে। দুর্নীতির মরন ব্যাধিতে রাষ্ট্র ও সমাজ ক্ষতবিক্ষত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ পদদলীত। বহুদলীয় রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে সমাজ রাষ্ট্রে অশুভ ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটতে বাধ্য। আর অশুভ শক্তির উত্থান হচ্ছে সরকারের ভুল নীতির কারণে।
তারা আরো বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের নয়নমনি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথে লুটরাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দেশকে লুটেরা দুর্নীতিবাজ মুনাফা লোভীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ‘তুই দুর্নীতিবাজ’, ‘তুই লুটেরা’, আওয়াজ তুলে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে লুটেরাদের প্রতিরোধ করতে না পারলে দেশটার শেষ পরিনতি শুভ হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন