জিবিনিউজ24ডেস্ক//
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের নিকটতম সহযোগী— উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, গত কয়েক বছরে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ভারতের মূল ফোকাসে রয়েছে বাংলাদেশ। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সব পেশাজীবী মানুষের দক্ষতা বাড়াতে ভবিষ্যতেও ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ৫৮তম ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, ভারত প্রতি বছরই নানা পেশার মানুষের দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। তারই আলোকে ভারতের স্বনামধন্য ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তারা আরও দক্ষ হয়ে ওঠেন। প্রতি বছর আইটেক কোর্সের মাধ্যমে হাজারও বাংলাদেশি পেশাজীবী ও তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রণয় ভার্মা বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ সব পেশাজীবী মানুষের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে, আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সরকারি পেশাজীবীদের পাশাপাশি এখন থেকে প্রফেশনাল ও প্রাইভেট সেক্টরের পেশাজীবীরাও দক্ষতা বাড়াতে আইটেক বৃত্তির সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কটি একটি রোল মডেল। যেসব ভারতীয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং রক্ত দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিচ্ছে ভারত সরকার। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সব পেশার উন্নয়নে দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত আমাদের সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে আইটেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন