মহিবুর রহমান মুকুল কমলগঞ্জ থেকে ll
কৃষি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কৃষি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি প্রদানের উপকরণ। দেশের অর্থনীতি বহুলাংশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। ২০২০ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের শ্রমশক্তির ৪০.৬ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৩.৩১ শতাংশ। তাই নির্দ্বিধায় বলতে হয় কৃষির উন্নতি মানে দেশের উন্নতি।
একজন কৃষক জমি তৈরী থেকে বীজ বপন, রোপন,পরিচর্যা,ধান কাটা, মাড়াই দেয়া, সংরক্ষণ পর্যন্ত অনেক প্রকার কাজের সমাধান করে ঘরে ধান তোলতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শ্রমিকের অভাবে কৃষক এখন দিশেহারা। মাঠে ধান প্রস্তুত, কিন্তু শ্রমিকের অভাবে কৃষকরা ফসল করে তুলতে পারছেন না। স্থানীয়ভাবে কৃষকদের সুখ এবং দুঃখের সারথি জনপ্রতিনিধি রিপন ইসলাম ময়নুল। তার নিজস্ব উপলব্ধি থেকে স্থানীয় কৃষকদের জন্য নিয়ে এসেছেন ধান কাটার আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্ববিখ্যাত “থিঙ্কার” কোম্পানির কম্বাইন হারভেস্টার।
যা অধিক কাদাযুক্ত কিংবা শুকনো অসমতল যে কোনো জমিতে ব্যবহার উপযোগী,
জ্বালানী সাশ্রয়ী,সহজ রক্ষনাবেক্ষণের সুবিধা, ৮৮ অশ্বক্ষমতা শক্তিশালী ও জ্বালানী সাশ্রয়ী টার্বোচার্জড ইঞ্জিন, ২ মিটার প্রশস্ত কাটিং হেডার যা কম সময়ে অধিক ফসল মাড়াই ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করার নিশ্চয়তা দেয়,
ওজনে হালকা ও গ্রাউন্ড পেশার কম থাকায় মাটি ডেবে যায় না, শস্যের ধরন অনুযায়ী ঝাড়াই প্লেট নিয়ন্ত্রন করা যায়, যা নিশ্চিত করে শস্যের অপচয় রোধ।
রিপন ইসলাম ময়নুল জানান, আনন্দের বিষয় হলো বিভিন্ন এলাকায় মেশিন নিয়ে গিয়ে ধান কাটার এ ব্যবসায় মেশিন চালকসহ কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
রিপন ইসলাম ময়নুল এর হারভেস্টার চালক বলেন, এ মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা ছাড়াও ধান মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী সব একসাথেই করা সম্ভব। একদিনে এ মেশিন দিয়ে আট একর জমির ধান কাটা যায়। এক একর ধান কাটতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। এই মেশিন পেয়ে কৃষকরা যেমন খুশি, তেমনি নতুন উদ্যোক্তারাও খুবই আনন্দিত।
আমরা কথা বলেছিলাম স্থানীয় কৃষকদের সাথে।
কৃষক নয় কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের বন্ধু কমরেড সিকান্দর আলী বলেন, রিপন ইসলাম মইনুলের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি মনে করি আমাদের কৃষকের জন্য এই মেশিন সাশ্রয়ী হবে এবং কৃষি আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাদের পরিচিতি ঘটবে।
জনপ্রতিনিধি ইব্রাহিম আলী বলেন, স্বল্প সময়ে যাতে করে আমাদের কৃষকরা তাদের ফসল বাড়িতে তুলে নিতে পারেন সেই চিন্তা থেকেই আমরা কাজ করছি।
কৃষক কয়ছর আহমদ জানান, এই মেশিন দিয়ে ধান কাটা সাশ্রয়ী হবে। আমি আমার সহকর্মী কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখছি। ঝাড়াই-মাড়াইয়ের সময় সাশ্রয় হবে।
এলাকার কৃষক আলতা মিয়া জানান, এলাকায় ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের দিয়ে ধান কাটার খরচ অনেক বেশি। এই ধরনের মেশিন ব্যবহারে কৃষকের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে।
সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য কৃষকদেরকে ভর্তুকি দিচ্ছে তাই সরকার ও সরকারের যথাযথ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃষি উদ্যোক্তা জনপ্রতিনিধি রিপন ইসলাম ময়নুল।
পাকা ধান জমিতে নষ্ট হওয়ার পূর্বে তাদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ধান সোনালী আঁশ বাড়িতে তোলার জন্য অনুরোধ রইল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন