জিবিনিউজ24ডেস্ক//
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রতিবেদন মতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংস্থার ছয় শতাংশ কর্মীকে সরাতেই ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হাঁটছে গুগল। কোন কর্মী কেমন কাজ করছেন, যথাযথভাবে তার মূল্যায়ন করা হবে। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই কাজের মান খারাপ, এমন কর্মীদের চিহ্নিত করে ২০২৩ সালের শুরুতে ছাঁটাই করা হবে।
যদিও ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি গুগলের মূল সংস্থা আলফাবেট। তবে কয়েক মাস আগে সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলসে আয়োজিত একটি সম্মেলনে পিচাই জানিয়েছিলেন, কর্মীসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর সংস্থাটি ধীর গতিতে চলছে। অতীতে কর্মীদের সতর্কও করেছিলেন পিচাই। যে সব কর্মী মন দিয়ে কাজ করছেন না, তাদের মারাত্মক পরিণতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
অন্য প্রযুক্তি কোম্পানির মতো মহামারির পর অনেক কর্মী নিয়োগ করেছে গুগল। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক সমস্যায় ভুগছে কোম্পানিটি। সে কারণেই ‘বাধ্য হয়ে’ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি টুইটারের মালিকানা কেনার পর মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক সংস্থার হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছেন। কর্মী সংকোচনের পথে হেঁটেছে ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটাও। সেই পথেই এবার হাঁটতে চলেছে গুগল।
গুগলে করোনার পর কর্মী নিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। ব্রিটেনের এক বিনিয়োগকারী ক্রিস্টোফার হোন গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটকে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যান্য সংস্থার তুলনায় গুগলের কর্মীদের বেতন অনেকটা বেশি। ভবিষ্যতে গুগলকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। সেই সময় তাদের কর্মী ছাঁটাই ছাড়া আরও কোনও উপায় থাকবে না।
অ্যাফাবেটে প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কর্মী রয়েছেন। হোন মনে করছেন, এই কর্মীসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গুগলে ২০ শতাংশ নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে গুগলে আয়ের তুলনায় ক্রমেই ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। হোন বলেছেন, পেশাদারদের সঙ্গে যোগ্যতাকে মানদণ্ড করেই গুগলের কর্মী ছাঁটাই করা উচিত
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন