জিবিনিউজ24ডেস্ক//
শিগগিরই ঢাকা- লন্ডনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে হাইকমিশনার বলেন, এ বছরের শুরুতে দু’দেশের মধ্যে প্রথম প্রতিরক্ষা সংলাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২’ পালন করে।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল মূল্যবোধ ভিত্তিক বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও কৌশলগত সম্পর্ক গত এক দশকে আরও সুদৃঢ় হয়েছে। একই সঙ্গে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন সহায়তাকেন্দ্রিক থেকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম ক্যাডেট প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়। শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ছিলেন এই ক্যাডেট প্রশিক্ষণের অন্যতম অংশগ্রহণকারী।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লন্ডন হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক লর্ড রামি রেঞ্জার ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ-প্রধান অ্যামি সিনিয়র।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্রিটেনের রানি ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকার ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন