ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাঝে দেশীয় উৎপাদিত পেয়াঁজ ও দেশীয় চিনি কলের উৎপাদিত চিনি বিক্রির আহবান জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। ০৮ অক্টোবর ২০২০ গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান উপরোক্ত দাবি জানান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন টিসিবির খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাধ্যমে পেয়াঁজ ও চিনি বিক্রিতে বারবার আমদানিকৃত পেয়াঁজ ও চিনি বিক্রি করা হয়। এর কারনে আমদানিকৃত এই দুটো পণ্যের উপর চাপ পড়ে। পেয়াঁজের আড়তদার ও কমিশন এজেন্টরা দেশীয় পেয়াঁজ বিক্রিতে আগ্রহী নয়। কারন দেশীয় পেয়াঁজ বাজারজাত করলে তারা ঘন্টায় ঘন্টায় দাম বাড়াতে পারবে না। আর দেশীয় উৎপাদকদের পেয়াঁজ বিক্রির রশিদ থাকে। ফলে দেশীয় কৃষক পেয়াঁজের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং পেয়াঁজ চাষে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে পেয়াঁজ বিক্রি হলে দেশীয় পেয়াঁজ বাজারজাত হবে, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে এবং দেশীয় উৎপাদন উৎসাহিত হবে। পেয়াঁজের মতো কৃষি পণ্যের জন্য পরনির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে দেশীয় চিনি কলের বিপুল পরিমান চিনি অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। চিনি অবিক্রিত থাকার কারনে শ্রমিকরা তাদের বেতন পাচ্ছে না। আখ চাষীদের আখের মূল্য পরিশোধে চিনিকলগুলি ব্যর্থ হচ্ছে। আর চিনি আমদানির কারনে বিপুল বৈদশিক মুদ্রা এখাতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও সাদা চিনিগুলি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা দেশীয় আখের চিনি খাবার পরামর্শ দিলেও চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অব্যবস্থাপনায় ও বাজারজাতকরণে চরম উদাসীনতায় দেশীব্যাপী এই চিনি বাজারজাত হচ্ছে না। দেশের একটি বৃহৎ অংশে খাদ্য ও চিনি সংস্থার আখের চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের সাধারণ জনগন স্বাস্থ্য সম্মত চিনি গ্রহনে সক্ষম হচ্ছে না। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কর্তা ব্যক্তিরা চিনি আমদানিকারকদের সাথে যোগসাজসে দেশীয় আখের চিনি বাজারজাতকরণে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে রেখেছেন। এ অবস্থায় টিসিবির খোলা বাজারে ও ডিলারদের মাধ্যমে চিনি বিক্রিতে দেশীয় আখের চিনি সরবরাহ করা হলে দেশীয় চিনি কলগুলি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশের জনগনও স্বাস্থ্য সম্মত চিনি পাবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন