জিবিনিউজ24ডেস্ক//
উত্তর কোরিয়ার ওপর আরেক প্রস্থ নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাশাপাশি, অদূর ভবিষ্যতে কোরিয়া প্রণালী এবং জাপান সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দক্ষিন কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুলিভান।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া কোম্পানি জুংআং মিডিয়া গ্রুপ এক যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেই সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মার্কিন এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘পিয়ংইয়ংকে পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত থেকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটন কূটনৈতিক চাপপ্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। নতুন আরেক প্রস্থ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। শিগগিরই এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হবে।’
আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা উত্তর কোরিয়া গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। পাশপাশি, এই সময়সীমার মধ্যে দূর-মাঝারি ও স্বল্পমাত্রার অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি ও পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি।
কূটনৈতিক নিয়ম ও সৌহার্দ্যের কোনো তোয়াক্কা না করে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রতিবেশী দুই দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
কোরিয়া উপসাগর অঞ্চলে প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে। গত অক্টোবরে পিয়ংইয়ংয়ের ছোড়া একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে সাগরে পতিত হয়েছিল। পাঁচ বছর পর প্রথম এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে সেসময় উল্লেখ করা হয়েছিল বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে গত ১৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে দেশটি।
ওই পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুমকি দেন— কোরীয় উপসাগর কিংবা তার আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি দেখা গেলে ‘ভয়ঙ্কর’ প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
বৃহস্পতিবারের ভিডিওবার্তায় সুলিভান বলেন, ‘কোরীয় উপসাগর অঞ্চলকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত রাখা বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য। আমরা কয়েক বার কোনো পূর্বশর্ত ব্যতীত বৈঠকে বসার প্রস্তাব উত্তর কোরিয়াকে দিয়েছি, কিন্তু পিয়ংইয়ং বারবারই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন