চীনা বিনিয়োগ আনতে আরব-চীন বৈঠক, আয়োজনে সৌদি

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় ও আরব অঞ্চলভূক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ আনতে চলতি ডিসেম্বরেই চীন-আরব বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আশা করা হচ্ছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃস্থানীয় দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আগামী ৯ ডিসেম্বর এই সম্মেলন শুরু হবে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির অন্তত ৩ জন কূটনীতিক। অন্যদিকে চীনের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর রিয়াদ সফরের উদ্দেশ্যে বেইজিং ত্যাগ করবেন শি জিনপিং।

তবে সৌদি সরকারের যোগাযোগ দপ্তর এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া থেকে বিরত আছে। রয়টার্স এই দুই দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো দপ্তরের কর্মকর্তাই এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মূলত উপসাগরীয় অঞ্চল এবং তার বাইরে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার আরবিভাষী দেশগুলোর বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও অন্যান্য খাতে চীনের বিনিয়োগ আকর্ষণ করতেই এই সম্মেলন হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের নিমন্ত্রণপত্র এসব দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ঠিকানায় পাঠানোও হয়েছে।

ঠিক কত সংখ্যক আরব রাষ্ট্রকে আসন্ন এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি সৌদির কূটনীতিকরা। তবে তারা জানিয়েছেন, সম্মেলনে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে কয়েকটি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত নভেম্বরের প্রথম দিকে সৌদির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবদেল আল জুবেইর জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে চীনের সঙ্গে আরব রাষ্ট্রগুলোর শিগগিরই একটি সম্মেলন হওয়া প্রয়োজন।

‘আমরা মনে করি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নটিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর,’ নভেম্বরের প্রথম দিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আবদেল আল জুবেইর।

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান এবং বাহরাইন অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত ও দৃঢ় করতে চাইছে। এসব দেশে ইতোমধ্যে চীনের কম-বেশি বিনিয়োগও রয়েছে।

তবে এবার পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে এবং এমন এক সময়ে এই সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে, যখন মানবাধিকার পরিস্থিতি ও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ অবলম্বনের দায়ে বেইজিং ও রিয়াদ— উভয়ের প্রতিই ওয়াশিংটন রুষ্ট।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন