বস্ত্র খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপূর্ণ সুবিধা বস্ত্র খাতে প্রয়োগ এবং এর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তরকে পোশাক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপূর্ণ সুবিধা বস্ত্র খাতে প্রয়োগ এবং এর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এ খাতে যুগোপযোগী ও দক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী গড়ার লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, তাঁত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিচালনা করছে।

শেখ হাসিনা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২ পালন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও স্যুভেনির প্রকাশের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের সুনাম ছিল গৌরবময় এবং জগদ্বিখ্যাত। ঢাকাই মসলিন থেকে শুরু করে জামদানি আর বেনারসি এ দেশের বস্ত্রশিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁত শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকেই তাঁত শিল্পের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্র খাতকে সমৃদ্ধ করার নানামুখী প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্র খাত থেকে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নির্বাচনী ইশতেহারে বস্ত্র খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম করে তোলার অঙ্গীকার করেছে।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্র খাত গড়ে তুলতে আমরা ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্র শিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে এ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন