জিবি নিউজ ||
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, মুনাযীরে আযম, বাহরুল উলুম, উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, শায়খুল হাদিস, মুফতিয়ে আযম, পীরে কামিল, হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)’র ঈসালে সাওয়াব মাহফিল গত ১০ ডিসেম্বর ২০২২ সিলেটের বিয়ানীবাজারে তাঁর গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, ইয়াকুবিয়া হিফজুল ক্বোরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা হাফিজ ফখরুদ্দীন চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে ফুলতলী, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঐতিহ্যবাহী সৎপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (অব:) শায়খুল হাদিস আল্লামা শফিকুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাখালগঞ্জ দারুল কোরআন ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অব:) আল্লামা হবিবুর রহমান ছাতকী।
মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিজুর রহমান, মিয়ার বাজার আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির খান, চান্দগ্রাম সিনিয়র মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা ওহিদুজ্জামান চৌধুরী খসরু, ভূরকী হাবিবিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফিজ শফিকুর রহমান সিরাজী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী,বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা মাওলানা আব্দুল আহাদ জিহাদি, গাজির মুকাম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মালিক লতিফী, দক্ষিণ মাথিউরা জালালিয়া মহিলা মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা কামাল হোসেন আল-মাথহুরী, সিরাজুল হুফফাজ হযরত চান্দগ্রামী বড় হাফিজ সাহেব (রহঃ)'র নাতি মাওলানা মোহাম্মদ কুতবুল আলম চান্দগ্রামী, দুবাগ বাজার হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দুবাগ বাজার হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আব্দুল কাদির, ফেঞ্চুগঞ্জ মানিককুনা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মাহবুবুর রহিম, দক্ষিণ দুবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সামাদ আজাদ চৌধুরী, হযরত গোলাবশাহ্ হাফীজিয়া(ইমাম বাড়ী)মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাশুক আহমেদ, লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ তাজুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার কলেজ রোড ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও বিয়ানীবাজার তাফসীরুল কোরআন পরিষদের সহ-সভাপতি আলহাজ নূর উদ্দিন আহমদ, দক্ষিণ দুবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কাজী আব্দুল কাদির, দুবাগ মক্তব মসজিদের ইমাম হাফিজ রিয়াজ উদ্দিন, দুবাগ বায়তুল আমান মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুস সালাম, হাফিজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, হাফিজ ক্বারী কামাল হোসেন, হাফিজ জায়েদ আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
আল্লামা দুবাগী ছাহেবের শানে গজল উপস্থাপন করেন রিসালাহ শিল্পীগোষ্ঠীর মোহাম্মদ শরিফ, আহমদুল হক ও রিয়াদুর রহমান চৌধুরী। মদীনা প্রহরী ইসলামী শিল্পীগোষ্ঠীর হাফিজ ক্বারী মোঃ কামাল হোসেন মর্সিয়া পাঠ করেন।
বক্তারা বলেন, আলেম সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র হযরত আল্লামা মুফতী মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব কিবলাহ রাহমাতুল্লাহ আলাইহি একজন মকবুল আল্লাহর ওলি ছিলেন। দেশে বিদেশে, বিশেষকরে দীর্ঘদিন ব্রিটেনে, দ্বীন ইসলামের বহুবিদ খেদমতে তিনি অবদান রেখে গেছেন। তিনি অনেক দক্ষ আলেম ও বিচক্ষণ ব্যক্তিকে আধ্যাত্মিক শিক্ষা দান করেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় বেশ কিছু মূল্যবান পান্ডিত্যপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর চিন্তা ও রচনা দ্বারা যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহ ও মানবজাতি উপকৃত হবে।
বাংলাদেশে থাকাকালীন কর্মজীবনে উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, হযরত আল্লামা মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল, শায়খুল হাদীস ও মুফতী ছিলেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসা, বিয়ানীবাজার থানার দাসুরা আলিয়া মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল আনওয়ারুল উলূম আলিয়া মাদ্রাসা, নবীগঞ্জ থানাধীন তাহিরপুর ইত্তেফাকিয়া মাদ্রাসা, জকিগঞ্জ থানাধীন আটগ্রাম আমজাদিয়া মাদ্রাসা, মৌলভীবাজার জেলার মুকীমপুর আলিয়া মাদ্রাসা এবং দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি তাফসীর, হাদীস, ফিকাহ বিষয়ে অধ্যাপনা করে শিক্ষার্থীদের জীবনকে ইলমেদ্বীনের আলোয় আলোকিত করে সমাজে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর নিজ হাতে গড়া ছাত্রবৃন্দ, উলামায়ে কিরাম বর্তমানে দেশে-বিদেশে উচ্চ পদস্থ ও প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সুনামের সাথে ইলমে দ্বীনের খিদমত চালিয়ে গেছেন বা যাচ্ছেন।
মাহফিলে শায়খুল হাদিস হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.)'র কয়েকজন প্রবীণ ছাত্র স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, সৎপুর মাদ্রাসায় তিনি যাবতীয় কঠিন কিতাবাদি অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যাপনা করেন। তিনি কিতাবি ঈলমে খুবই পারদর্শী ছিলেন। অনেক ধৈর্য এবং নিয়মানুবর্তিতার পাবন্দী ছিলেন। কঠোর রীতি মেনে চলতেন। নিয়মিত তাঁকেই ক্লাশে পেয়েছি। যতবড় কঠিন কিতাবই দেওয়া হত না কেন, তিনি তা অত্যন্ত সহজ সরল এবং প্রাঞ্জল ভাষায় পাঠ দান করতেন। কঠিন থেকে কঠিন বিষয়কেও বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে সহজ করে ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। ক্লাসের দুর্বল ছাত্রও তাঁর দরস বুঝতে বেগ পেতে হত না। আরবী, উর্দূ ও ফার্সি ভাষায় তাঁর দক্ষতা ছিল ইর্ষান্বিত। হুজুর ছাত্রদের অত্যন্ত মহব্বত করতেন। কোন ছাত্র অনুপস্থিত থাকলে তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতেন।
তিনি বারবার বলতেন, কিতাবের ইবারত থেকে কিতাব বুঝে নিতে হবে। ইবারত বোঝার জন্যে কোন নোট বা শরাহ পড়তে অনুৎসাহিত করতেন। আবার দরসের আলোচনা শেষে ছাত্ররা যেন এর ওপর ভরসা করে না বসে, সেদিকেও তিনি সতর্ক করতেন। আলোচনা শোনার পাশাপাশি তারা যেন মূল উৎসগ্রন্থ থেকে বিষয়টা পড়ে নেয় তা বলতেন। তখনকার ছাত্রদের হাতে হাতে এখনকার মতো এত কিতাব ছিল না। সংকট ছিল কিতাব প্রাপ্তি এবং কেনার সামর্থ্য—উভয় দিক থেকেই। কতটুকু পড়তে হবে—দেখিয়ে দিতেন। এভাবেই তিনি ছাত্রদেরকে কিতাবমুখী করে তুলতেন, তাদের মেহনতের অভ্যাস গড়ে দিতেন। তাঁর পাঠদান ছিল খুবই আকর্ষণীয়। প্রথমে কিতাব ছাড়াই ছাত্রদের পুরো সবক বুঝিয়ে দিতেন। ভেঙে ভেঙে বোঝাতেন। পুরো সবকে কতটা আলোচনা, শিরোনাম বলে তা ব্যাখ্যা করতেন। সবশেষে কিতাব পড়িয়ে দিতেন। ছাত্রদেরকে যে শুধুই পড়িয়ে দিতেন, পড়তে উৎসাহিত করতেন, ভালো পড়ার পদ্ধতি বাতলে দিতেন—এতটুকুই নয়। ছাত্রদের মনমানস গড়ার পেছনেও তিনি ছিলেন সদাসতর্ক।
মুনাযীরে আযম হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব(রহ.) বিলাতবাসী মুসলমানদের আমন্ত্রণে ১৯৭৮ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমালে সেখানে প্রথমে লেস্টার নামক শহরের একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত করে মসজিদের ইমাম ও খতীব নিযুক্ত হন। সেখানে অত্যন্ত সুনাম-সুখ্যাতি ও দক্ষতার সাথে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জনসাধারণের কাছে "লেস্টারের ছাহেব" হিসেবে প্রসিদ্ধ ও পরিচিত ছিলেন। তিনি ইউকে আনজুমানে আল ইসলাহ সহ অনেক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। বৃটেনে বিভিন্ন শহরে তাঁর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ও পরামর্শে অনেক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খুবই বড় দরজার মুহাক্কিক আলিমের পাশাপাশি তাঁর আমল ছিল অত্যন্ত উঁচু পর্যায়ের এবং সাহেবে কারামত বুযুর্গ ছিলেন।
তিনি ছিলেন শামসুল উলামা হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)'র শীর্ষস্থানীয় খলিফাদের মধ্যে অন্যতম। ব্রিটেনে ফুলতলী মসলকের নীতিনির্ধারক হিসাবে আল্লামা দুবাগী (রহ.)’র অবদানও অবিষ্মরণীয়। যুক্তরাজ্যের আনাচে কানাচে সকল শ্রেনীর মানুষের হৃদয়ের মধ্যমনি ছিলেন আল্লামা দুবাগী (রহ.)! ওয়াজ-নছিয়ত ও লিখনীর মাধ্যমে সফলভাবে ইসলামের দাওয়াতি কার্যত্রুম আনজাম দিয়ে গেছেন। বৃটেনে তিনি মানুষকে শরীয়তের সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে যান। আল্লাহভোলা বান্দাদেরকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করার মেহনতে রত ছিলেন আজীবন।
তিনি শুধু বাংলাদেশের আলিম ছিলেন না, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমকালীন যুগে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পীর মাশায়েখের সাথে তাঁর ছিল নিবিড় সম্পর্ক। আল্লামা দুবাগী সাহেবের একটা বড় বৈশিষ্ট ছিল, তিনি মেহমান নেওয়াজ। মেহমানদের প্রাণ খুলে আপ্যায়ন করতেন।
বিলেতে পাড়ি জমালে ও ইলমে দ্বীনের খিদমত থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হননি কখনও। ইসলাম প্রচার, দরস-তদরীস, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রদান, ওয়াজ নসীহত, তরিকতের তালিম ও তলকীন জারি রেখেছেন আজীবন। তাঁর জীবন ছিল দ্বীনের জন্য কুরবান। ইলমী তাজকিরা থেকে তিনি বিরত থাকেননি কখনও।
তিনি ছিলেন অত্যন্ত দায়িত্ব সচেতন ও কর্তব্যনিষ্ঠ। কখনো গাল-গল্প করে সময় নষ্ট করতেননা। তিনি ছিলেন উদার, মহৎ ও সবার কল্যানকামী। তিনি যেমন নিজে বেশকিছু দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কায়েম করেছেন তেমনি এসব কাজে অপরকেও উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছিলেন সকল কাজে সুন্নতের পাবন্দ। তিনি বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিরিয়া, মরক্কো, ভারত, কুয়েত, ইরাক, মিশর, জর্দান, বায়তুল মুকাদ্দিস ও সৌদি আরব সফর করেছেন। সে সব দেশের মশহুর মুহাক্কিক উলামা-মাশায়িখদের সাথে বৈঠক করেছেন, ইলমী আলোচনা করেছেন, হাদীসের সনদ আদান-প্রদান করেছেন।
দৈহিকভাবে তিনি লম্বা ছিলেন। মানানসই সুন্দর দেহের অধিকারী সুপুরুষ ছিলেন তিনি। তাঁকে শেরোয়ানী-সেলোয়ার পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় শাহানশাহ’র মতো দেখাতো। তাঁর লালচে গোলাপী রঙের দীপ্তিমান প্রশস্ত চেহারা ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যার ফলে যে কোন লোক তাকে একবার দেখামাত্র তাঁর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তেন। আল্লামা দুবাগী (রহ.)'র ব্যক্তিগত অভ্যাস, আচার-আচরণ, বাক-ভঙ্গী, চলাফেরার ধরণ ও পোষাক-পরিচ্ছদ সব কিছুই ছিল মোহনীয় ও অনুকরণীয়। ইলমে কেরাতে বিশেষ দক্ষতার কারণে তিনি আলেম সমাজে ব্যাপক সমাদৃত ছিলেন।
তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, তিনি সারা জীবন মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। কথাবার্তায় খুব সহজেই সবাইকে মুগ্ধ করতে পারতেন। ইসলামী জ্ঞান-জগতের নানা শাখা-প্রশাখায় তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ। আল্লামা দুবাগী (রহ.)'র ছাত্রজীবন থেকে প্রখর ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ছিলেন। ইন্তেকাল অবধি ইসলাম প্রচারের সেবায় তিনি নিয়োজিত ছিলেন।
বিশ্বনন্দিত মুফতি হযরত আল্লামা মুফতি মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী ছাহেব (রহ.) তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি কর্ম আগামী প্রজন্মের জন্য হবে পথ প্রদর্শক। তিনি তাঁর জীবনে মুসলিম প্রজন্মের জন্য রেখে গিয়েছেন তিনজন সুযোগ্য ছাহেবজাদা, মসজিদ, মাদ্রাসা, খানেকা, লিখনীসহ অনেক দীনী কার্যক্রম। তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেলেও তাঁর কর্মের মধ্যে আজীবন অমর হয়ে থাকবেন।
সর্বশেষে এ মহতী অনুষ্ঠানে মীলাদ পাঠান্তে জাতির এ সুসন্তানের জন্য আল্লাহর দরবারে বিনীত প্রার্থনা করা হয়, তিনি যেন তাঁর মকবুল ওলীকে রহমতের চাদরে আবৃত করে জান্নাতুল ফিরদাউসের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। অতিথি ও গ্রামবাসীকে শিরনি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে মাহফিলের সমাপ্তি হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন