জিবিনিউজ24ডেস্ক//
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া শেখাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রসিক নির্বাচনে মোট ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে। আর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড রয়েছে ১১টি। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে মোট ১১টি ক্যাম্প করা হবে।
২০১৭ সালের রসিক নির্বাচনে একদিনের মক ভোটের আয়োজন করেছিল ইসি। এক্ষেত্রে এবার দুই দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে। ভোটারদের বিচরণ বেশি এমন এলাকায় ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তারা মো. আবদুল বাতেনকে পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে- আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নির্বাচনী এলাকার সব ভোটারদের যাতে ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে কেবল ভোটারদেরই নয়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও এবার থাকছে নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য দু’দিনব্যাপি এবং পোলিং অফিসারদের জন্য একদিনের দিনের প্রশিক্ষণ দেবে।
অন্যদিকে নির্দেশনায় ইভিএম নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে সব প্রার্থী, ভোটার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালানোর জন্যও বলা হয়েছে।
রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ২৭০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভোটের মাঠে।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে অনুযায়ী এই সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন