জিবিনিউজ24ডেস্ক//
ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও মনের কথাটাই উগড়ে দিয়েছিলেন, আর্জেন্টিনাকে জিততে বিশ্বকাপ দেখতে চান, এটা বললে মিথ্যে বলা হবে। তবে রোনালদোর বিশ্বজয়ের সারথী, ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু জানিয়েছেন, ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে মেসি আর তার দল আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন দেবেন তিনি।
২০০২ সালে ব্রাজিল সর্বশেষ ফাইনালে উঠেছে, জিতেছে বিশ্বকাপও। এরপর থেকে অবশ্য বিশ্বজয়ের মঞ্চটা বারবার শুধু বঞ্চনাই উপহার দিয়েছে বিশ্বফুটবলের সবচেয়ে সফল দলটাকে। তবে বিশ্বকাপে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ও প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনা এরপর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো খেলছে ফাইনালে।
এই ফাইনাল নিয়ে ব্রাজিল অবশ্য বেশ দ্বিধাবিভক্ত। এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষই চান না মেসির আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক, যাদের মধ্যে রোনালদো নাজারিও একজন। তবে দেশটির ৩৩ শতাংশ মানুষ লাতিন আমেরিকার দল হিসেবেই হোক কিংবা লিওনেল মেসির জন্য, বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান আর্জেন্টিনাকে; ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কাফু সেই দলে।
সম্প্রতি ওলে ক্লারিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে মেসির, এরপর আর্জেন্টিনার সমর্থন দেবো। কেন আমি মেসিকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে চাইব না?’
ব্রাজিল নেই, তাই কাফুর আশা, মেসিই জিতবেন বিশ্বকাপ। বললেন, ‘ব্রাজিল না থাকলে আমি মেসিরই সমর্থন দেবো। সে একটা দারুণ বিশ্বকাপ কাটাচ্ছে। প্রথম ম্যাচটা হারের পর সে আর আর্জেন্টিনা বড় সমালোচনার মুখেই পড়ে গিয়েছিল, বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কাতেও পড়ে গিয়েছিল।’
সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী এবার করেছেন ৫ গোল, করিয়েছেন আরও তিনটি। গোল্ডেন বল আর গোল্ডেন বুটের দৌড়েও ভালোভাবেই আছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে মেসি যেভাবে খেলেছেন, সেটাই মুগ্ধ করেছে কাফুকে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে হারের পরই সে নিয়ন্ত্রণ নিলো, দায়িত্বটাও নিজের কাঁধে তুলে নিলো। মনে হলো, ‘এটা আমাকে দাও’ আর সে তার জাতীয় দলকে আরও ভালো করার পণ নিয়ে নেমেছিল যেন, আর সে এটা অর্জনও করেছে।’
মেসি তো আছেনই, সঙ্গে আর কোন ব্যাপারটা আর্জেন্টিনাকে আরও ভালো দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে? কাফুর উত্তর, ‘তাদের রক্ষণভাগ। এটা দারুণ পোক্ত এক রক্ষণ। তারা খুব নিখুঁতভাবে রক্ষণকাজটা সারে। ফ্রান্সের জন্য গোল করাটা বেশ কঠিনই হবে।’
আগামীকাল রোববার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন