জিবিনিউজ24ডেস্ক//
দু’বার বিশ্বজয় শেষে এবার তিন তারকার লড়াইয়ে মাঠে নামছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। রোববারের এই ফাইনালের আগে চলছে নানা আলোচনা। দুই কোচের মগজেও চলছে ভাবনার ঝড়। বিশ্বকাপ জয় নিয়ে একটা মহা ভাবনা তো আছেই, কিন্তু যে লড়াইগুলো বিশ্বকাপের ভাগ্যটা গড়ে দেবে, আপাতত ভাবনা সেগুলো নিয়েই। সেখানে উতরে যেতে পারলেই যে নিশ্চয়তা মিলবে বিশ্বজয়ের!
>ফ্রান্সের ‘মেসি ঠেকাও’ মিশন
বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলতে নামছেন লিওনেল মেসি। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে হাপিত্যেশ করে গেছেন এই এক বিশ্বকাপ নিয়েই। ২০১৫ সালে পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জেতার পর বলেছিলেন, সব ব্যালন ডি’অর বিসর্জন দিয়ে হলেও একটা বিশ্বকাপ জিততে চাইতেন। সে সুযোগটা ২০১৪ সালে এসেছিল, সাড়ে আট বছর পর এসেছে আবার।
জিততে পারলে তো কথাই নেই, কোনো এক ‘ফিল গুড’ সিনেমার মতো শেষ হবে তার বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার। আর যদি না হয়, তাহলে সিনেম্যাটিকই হবে তার গল্পটা, শুধু জনরাটা বদলে ‘ফিল গুড’ থেকে ‘ট্র্যাজেডি’ হয়ে যাবে আরকি!
বিশ্বকাপে পোল্যান্ড ম্যাচ ছাড়া এই পর্যন্ত সব ম্যাচেই করেছেন গোল, করিয়েছেনও। তাকে আপাতদৃষ্টিতে থামাতে পারেনি কোনো দলই। তবে তাকে ‘থামানোর’ কাজটাই রীতিমতো একটা প্যারাডক্স হয়ে এসেছে প্রতিপক্ষ কোচদের কাছে। পুরো ম্যাচে যে তেমন কিছুই করেন না তিনি!
বয়স হয়েছে, এখন আর পুরো ম্যাচের ৮০ শতাংশ সময় তাকে দৌড়োতে দেখা যায় না, যে তিন থেকে চার, বড়জোর ৬-৭ মিনিট বল পায়ে থাকে, তাকে ম্যাচে দেখা যায় সে সময়টাতেই। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাকে কড়া মার্কিংয়ের দায়িত্বটা নাইজেল ডি ইয়ংকে দিয়েছিলেন কোচ লুই ফন হাল। আজ ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালেও কোচ দিদিয়ের দেশম তেমন কিছু করবেন, তার চেয়ে উগো লরিস বা এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের কারো গোল করে নিজ দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর সম্ভাবনাটা বেশি।
প্রতিপক্ষ কোচের জন্য মেসি সবচেয়ে বড় সমস্যাটা সৃষ্টি করেন নিজের অননুমেয় অবস্থান দিয়ে। চলতি বিশ্বকাপে তিনি খেলাটা শুরু করেন দুই ফরোয়ার্ডের একজন হিসেবে, এরপর তাকে কখনো নিচে, কখনো ওপরে, কখনো বাঁয়ে বা কখনো দেখা যায় ডানে, তাই ঠিক কোন খেলোয়াড়টাকে দিয়ে মেসিকে রোখা যাবে, সে প্রশ্নের উত্তরই মেলাতে পারেননি অনেক কোচ।
তবে গেল বিশ্বকাপে কোচ দেশম মেসিকে রুখেছিলেন ডান পাশে এনগোলো কন্তে আর লুকাস এরনান্দেজকে দিয়ে, পুরো ম্যাচে অবস্থান বদলালেও মেসি বেশিরভাগ সময় থাকেন সেই ডান পাশেই। তাই আজকের ফাইনালেও তাকে সেই ডান পাশের দুই কি তিন খেলোয়াড়, থিও এরনান্দেজ, অরলিয়েঁ চুয়ামেনি, আর আদ্রিয়েন রাবিওদের দিয়েই মার্ক করতে দেখা যাবে ফ্রান্সকে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন