আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা ||
গাইবান্ধায় জমিজামা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতের পরিবার দাবী সঠিক সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। আর কেউ কোন প্রকার হতাহত হতো না। ১৭ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা পৌর শহরের খানকাশরীফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নান্টু মিয়ার সাথে সাজেদুর রহমানদের দীর্ঘদিন থেকে জমিজামা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে অন্যায়ভাবে সাজেদুর রহমানদের বাড়ির জমি দখলের পায়তারা করতে থাকে নান্টু মিয়া গং। এক পর্যায়ে জমিতে প্রবেশ করে ইটের প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে ভুক্তভোগীরা, এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে না আসায় সময় ক্ষেপন করে। এদিকে পুলিশ না আসায় বাদী সাজেদুর রহমানসহ কয়েকজন মিলে নির্মাণ কাজে বাধা দিতে গেলে তাজুল ইসলাম নান্টু হুকুমে তার ভারাটে সন্ত্রাসীরা সাজেদুর রহমান ও তার ভাইদের এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। এক পর্যায়ে নান্টুর ভারাটে রাজিব মিয়ার এক হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে মমিনুল ইসলাম বাবুর মাথায় কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও ইমরান মিয়ার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে মাহফুজার রহমানের মাথায় চোট মেরে গুরুত্বর জখম করে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে আহতদের গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম নান্টু গং কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আহতরা উক্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে সাংবাদিক কে জানান, জমি সংক্রান্ত মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন