জিবিনিউজ24ডেস্ক//
হোল্ডিং ট্যাক্স জমা দিতে সিটি কর্পোরেশন অফিসে না যেতে অনুরোধ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। রাজধানীবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে সিটি কর্পোরেশন অফিসে যাবেন না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে কেউ সিটি কর্পোরেশনে যাবেন না। কারণ সব জায়গার মতো সিটি কর্পোরেশনে ও কিছু অসৎ ব্যক্তি আছে, তারা তখন সাধারণ জনগণকে দেখিয়ে দেয় আকাশের যত তারা, সিটি কর্পোরেশনের তত ধারা। ট্যাক্স পরিশোধ করা অনেক কঠিন কাজ হিসেবে তারা মানুষকে দেখায়। এর ফলে তারা অবৈধ সুবিধা নেয়। সে কারণে সেই ভোগান্তির মধ্যে না গিয়ে আপনারা অনলাইনে সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। তাহলে কোনো ভোগান্তি হবে না এবং অসাধু যারা আছে তারাও কোনো ফায়দা নিতে পারবে না। অনলাইনেই সবকিছু সুন্দরভাবে দেওয়া আছে। সেখান থেকেই আপনি সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্সও আমরা অনলাইনের মাধ্যমে দিতে শুরু করেছি। কত ভোগান্তি একটা ট্রেড লাইসেন্স আনতে গেলে, নাগরিক সেবা দেওয়ার উদ্যোগ থেকে এই ভোগান্তি আমরা চাই না। ভোগান্তিহীনভাবে যেন নাগরিকরা সব ধরনের কাজ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পাশাপাশি যারা নিজ বাড়িতে রেইন হার্ভেস্টিং করবে তাদের ১০ শতাংশ দিবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া যারা প্রকৃত ছাদ প্রদান করবেন, অর্থাৎ যাদের ছাদ বাগানে মশা জন্মাবে না এবং কার্যকর ছাদবাগান নির্মাণ করবেন তাদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দেশকে যদি আমরা ভালবাসতাম তাহলে আজকে মাঠ দখল হতো না, ফুটপাত দখল হতো না, খালের জায়গা দখল হতো না। আমরা মুখে বলি আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, সঙ্গে আবার জায়গাও দখল করি। খালের পাড়ে যারা অবৈধভাবে দখল করেছে, তাদের বলতে চাই নিজেরা অবৈধ দখল সরিয়ে নিন। নইলে বুলডোজার যখন যাবে, তখন কিন্তু আর সীমানা মাপা হবে না যে কতখানি দখল করেছেন, কতখানি বৈধ জায়গা।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন এসব লেকগুলোতে আমরা মাছ ছাড়তে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে পানি দূষণের কারণে আমরা মাছ ছাড়তে পারিনি। জীব ও বৈচিত্র আনতে পারিনি। কারণ অভিজাত এলাকায় অভিজাত শ্রেণির মানুষরাই তাদের বাড়ির পয়:বর্জ্যের লাইন সরাসরি এখানে যুক্ত করে দিয়েছে। এসব এলাকায় যাদের অবৈধভাবে লাইন দিয়ে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে অভিযান শুরু করব। আমরা তালিকা তৈরি করেছি এখানে কেউ ছাড় পাবেন না। নাগরিকদের বলব, আপনারা শহরের যেখানে যেকোনো সমস্যা দেখবেন, আপনারা শুধু ছবি তুলে ঢাকা অ্যাপে সমস্যার কথা জানিয়ে দেবেন। আমরা তাৎক্ষণিক সেটার ব্যবস্থা নেব, নাগরিক সুবিধার্থেই সবার ঢাকা অ্যাপ নিয়ে এসেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন