জিবিনিউজ24ডেস্ক//
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং ঢাকায় দেশটির দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান ফোনালাপে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন ও দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেছেন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান। তারা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে শারম্যানের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাতে ওই ফোনালাপের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তারা কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা সনদের বিষয়ে পারস্পরিক অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
শাহরিয়ার আলম শারম্যানকে নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতেরা বরাবরের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতদের জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সুমনের বাসায় প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট তিনি সেখানে অবস্থান করেন। এরপর তিনি ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রায় ৪৫ বছর আগের গুমের ঘটনা ও সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেয় ‘মায়ের কান্না’ নামে একটি সংগঠন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন পিটার হাস। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরদিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে আলোচনা করেছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন