সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ||
ছাতকে ভুয়া দলিল ও উত্তরাধিকারী সনদ জাল জালিয়াতি করে কবি ও ছড়াকার শামছুল হকের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ত্রুয়কৃত ভুমি জোবপুবক দখল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর আমমোক্তারনামা দলিল মালিক চমক আলী,শামছুল আলম ও নজরুল ইসলাম মিন্টুসহ ৩ জনকে আসামী করে ভুক্তভোগী শামছুল হক বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর ৪৯৮ নং
মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার সকালে ছাতকে জাহিদপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচাজ পলাশ চন্দ্র রায় এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দলিল ও ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এঘটনার বিরোধ নিয়ে দু্পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছেন। যে কোন সময় সংঘষের আশংকা রয়েছে।
জানা যায়,২০১৬ সালে ২০ ডিসেম্বর আজিজুর রহমানের পুত্র নজরুল ইসলাম মিন্টু তার ৩ বোন মোমেনাবেগম,মমতাজ আক্তার,মোহসিনা আক্তার শিমু কাছ থেকে লক্ষিপাশা মৌজার
৫৩১৫ নং দলিল মুলে কবি ছড়াকার শামছুল হক তাদের নিকট থেকে পৃথক পৃথক দুটি দলিলের মাধ্যমে ১৪ শতক জায়গা ত্রুয় করেন।
সে উপজেলার দোলারবাজার ইউপির মুক্তার পুর গ্রামে মৃত মোহন আলীর ছেলে কবি ছড়াকার পল্লী ডাক্তার শামছুল হক।
ওই জমির প্রকৃত মালিক স্থানীয় লক্ষিপাশা গ্রামে মৃত মবশ্বির আলী পুত্র আজিজ রহমান । এ জমি ভুমি চত্রুরা আমমোক্তারনামা একটি দলিলের মাধ্যমে জোবপুবক দখলের নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই ইউপির লক্ষিপাশা গ্রামে মৃত সিকন্দর আলী পুত্র চমক আলী ও মৃত শুকুর আলী পুত্র শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। এ ভুমিখেকো চত্রেুর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ব্যক্তিরা প্রতারিত হয়েছেন। তাদের জাল জালিয়াতি থেকে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া ও রক্ষা পায়নি। তার স্বাক্ষর ও সিল ভুয়া উত্তরাধিকারী সনদ তৈরি করার অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া।
ভুমিখেকো অভিযুক্তরা পরে জাল দলিল ও ভুয়া উত্তরাধিকারী সনদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস থেকে রাতারাতি নামজারিও করে নেয় সুকৌশলে তারা।
ভুক্তভোগী কবি ছড়াকার শামছুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ডিসেম্বর প্রথমে দিকে ভুমি অফিসে গিয়ে জানতে পারে তার ত্রুয়কৃত ভুমি ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে নামজারি করে নেন চমক আলী চত্রুরা।
ওই চত্রেুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম,দুনীতি জাল জালিয়াতিসহ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করায় তার নামে একাধিক গায়েবী চুরিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে তার পরিবারকে চরম হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ করেন।
জাল ওয়ারিশ সনদ ও প্রত্যয়নপত্রের দেয়ার
ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া জানান,তার স্বাক্ষর জাল করে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে চক্রটি পল্লী ডাক্তারের ত্রুয়কৃত ১৫ লাখ টাকার জমিটি দখলে প্রচেষ্টা করছেন।
এব্যাপারে জাহিদপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচাজ পলাশ চন্দ্র রায়,এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মামলাটি তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের স্বাথে কোন কিছু বলতে পারছেন না
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন