জিবিনিউজ24ডেস্ক//
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামাবাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এই সতর্কবার্তা দেয়। অবশ্য দুইদিন আগেই পাকিস্তানের রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এরপর থেকে শহরটি ইতোমধ্যেই সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস তার কর্মীদের শহরের একটি শীর্ষস্থানীয় হোটেলে আমেরিকানদের ওপর সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
রোববার দূতাবাস থেকে দেওয়া নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সম্ভবত ছুটির সময়ে ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে আমেরিকানদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করছে’ বলে মার্কিন সরকার তথ্য পেয়েছে।
আর তাই ওই নিরাপত্তা নির্দেশনায় মার্কিন দূতাবাসের স্টাফ এবং অন্যান্য নাগরিকদের ক্রিসমাসের ছুটিতে ইসলামাবাদের জনপ্রিয় এই হোটেলে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া ছুটির মৌসুমে ইসলামাবাদে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে মার্কিন এই মিশন।
গত শুক্রবার ইসলামাবাদের একটি আবাসিক এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলার পর দূতাবাসের এই নির্দেশনা সামনে এলো। ওই হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। পুলিশ টহল চলাকালীন তল্লাশির জন্য একটি ট্যাক্সি থামানোর পর ওই বিস্ফোরণটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, তল্লাশির সময় পেছনের সিটের যাত্রী তার বহনকারী বিস্ফোরক বিস্ফোরণ ঘটায়। পাকিস্তানি তালেবান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের শাসকদের থেকে আলাদা হলেও কার্যত তাদেরই মিত্র।
এরপরই পাকিস্তানের সরকার ইসলামাবাদে উচ্চ সতর্কতা জারি করে। এমনকি স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন জনসমাগম ও মিছিলও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এছাড়া শহরজুড়ে যানবাহন তল্লাশি ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি চেকপয়েন্টও স্থাপন করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলকে লক্ষ্য করে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় হামলাকারীরা হোটেলের গেট পর্যন্ত একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সেখানে ৬৩ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
ওই ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের রাজধানীতে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর মধ্যে একটি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন