মেট্রোরেল চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা

সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||

স্বপ্নের মেট্রোরেল চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে করায় বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের ইনান এর নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনে করে, কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেলের যাত্রা নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনবে, মানুষের মূল্যবান সময় সাশ্রয় হবে, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ব্যবহার কমে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে, শিক্ষার্থীরা সহজ ও সুলভে যাতায়াত করতে পারবে, যাতায়াতে সময় কম ব্যয় হওয়ায় তরুণরা পড়াশুনা খেলাধূলা-সাহিত্যচর্চা ও সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অধিক সময় পাবে, মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকবে। মেট্রোরেল চালু করে শেখ হাসিনা সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার যে দুয়ার খুলে দিয়েছেন, তাতে এদেশের ছাত্রসমাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের ইনান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ড।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ' আজকে ছাত্রসমাজকে প্রস্তুত হতে হবে আমাদের লড়াই সংগ্রামকে নতুন ভাবে আগুয়ান করার জন্য শপথ নিতে হবে। আমরা এমন একটি লড়াই লড়তে চাই এবং শেষ লড়াই লড়তে চাই যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে এবং গনতন্তের লাইসেন্স নিয়ে যারা মানুষ হত্যা করেছে। যারা রাজনীতি করার লাইসেন্স নিয়ে দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে তাদের মুলউৎপাটন বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিত করতে হবে, সেই শপথ আমাদের গ্রহণ করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "মেট্রোরেল যেমন ঢাকা শহরের লাইফ লাইন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হচ্ছেন বাংলাদেশের লাইফ লাইন। ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছি। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৮২৪ মার্কিন ডলার কিন্তু এটা ২০৪১ সালে সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উপনীত হবে। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট সেটি ২০৪১ সালে ৫৬ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। জিডিপি ৭ শতাংশ থেকে গিয়ে ৯ শতাংশে দাঁড়াবে। স্মার্ট বাংলাদেশের এই স্বপ্নকে নিরাপদ করতে হবে এবং আগামী দিনে আমরা যদি বঙ্গবন্ধু কন্যার ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আরো অনেক অসীম সোনালী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অপেক্ষা করছে।

সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের ইনান বলেন, ' গতকাল বঙ্গবন্ধুর তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে যে স্বপ্নের দুয়ার, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে যোগাযোগ বেবস্থার অত্যাধুনিক যাত্রায় এবং এর মাধ্যমে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রক্রিয়ায় স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে আমাদের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।মেট্রোরেল চালু করে পৃথিবীর উন্নয়ন ইতিহাসের রোল মডেল, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র ঠিকানা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার যে দুয়ার খুলে দিয়েছেন, তাতে এদেশের ছাত্রসমাজ এবং তরুণ প্রজন্ম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।" 

তিনি আরও বলেন, "এই মেট্রোরেলের উদ্বোধন অপশক্তির বুকে জ্বালা দেয়। আগামীকাল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিন। এর আগে আজকে আমরা মেট্রোরেল উদ্বোধন করে আনন্দ শোভাযাত্রা করছি। কিন্তু ওরা আগামীকালকে সারা ঢাকা শহরে নৈরাজ্যের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ওরা আগামীকাল নাকি সারা ঢাকা শহরে গণমিছিল করবে। কিন্তু গণমিছিলের নামে যদি গণ হয়রানির চেষ্টা করা হয় তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। যে হাত আগামীকাল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে সেই হাত ঢাকা শহরের মানুষ ভেঙে ফেলবে।"

উল্লেখ্য, গতকাল ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন।লাল ফিতা কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরীর সবচেয়ে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার প্রথম যাত্রী হন। মেট্রোরেল পরিষেবার প্রথম ধাপের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো। 

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন