সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী ও অালোচনা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি। অালোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক অামিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী অাশিফ ইনান ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা.মোঃ এনামুর রহমান বলেন, ''ছাত্রলীগকে আমি তাদের কর্মের জন্য ভালোবাসি। যখন কৃষকের ধান কাটার লোক থাকে না তখন ছাত্রলীগ তাদের ধান কেটে দেয়। দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। করোনার সময় মানুষের মধ্যে অক্সিজেন নিয়ে সেবা দেয়। বিগত কয়েক বছরে ছাত্রলীগ যেভাবে সব দুর্যোগ দুর্বিপাকে দুঃস্থ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে নিজেদের সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হতে পেরেছে ঠিক সেভাবেই আগামী দিনেও ছাত্রলীগ যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ থাকলে আওয়ামী লীগ কখনো কোনো সংকটে পড়বে না।
তিনি আরো বলেন, ' আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর দিকে তাকালেই দেখা যায়, তারা কত স্মার্ট! কত উজ্জ্বল! আজকের ছাত্রলীগকে দেখে আমি বলতে চাই, ‘রাইজিং বাংলাদেশ’, ‘শাইনিং বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন, আমি বিশ্বাস করি এই ছাত্রলীগ দিয়েই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাহায্য-সহায়তা সর্বত্র প্রতীয়মান। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের অসহায় দরিদ্রদের জন্য সবসময় সাহায্য করে আসছে। এমনকি যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ভূমিকা অনন্য। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।'
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এরই মধ্যে ৫ কোটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা স্মার্ট ক্যাম্পাস ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলছি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সংকটে আমরা পাশে থাকবো।আজ আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা বাস্তবায়ন করবো।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক অামিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়ন ও সাধারন সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন