সিলেটের করিমউল্লাহ মার্কেটে প্রবাসীর দোকান দখলের অভিযোগ

  জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

২জন মন্ত্রী, ১জন এমপি, কাউন্সিলার, সিলেট আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সুপারিশ অগ্রাজ্য করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সিলেট নগরীর করিমউল্লাহ মার্কেটে স্থায়ী বন্দোবস্তকৃত ১টি দোকানকোঠা, মার্কেট-মালিক কর্তৃক জোরপুর্বক দখলের অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটেন প্রবাসী আমিরুল ইসলাম নজমুল। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রশাসনকে অবহিত করতে ৬ জানুয়ারী শুক্রবার লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী নজমুল।
এমনকি সংবাদ সম্মেলন না করতে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের চাপ ছিলো বলে জানিয়েছেন এই ভুক্তভোগী।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের গোপশহর গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম নজমুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন গত দুই বছর বাংলাদেশের এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দখলমুক্ত করতে না পেরে অবশেষে নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০১ সালে যখন করিমউল্লাহ মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয় তখন আমি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ১০৪ স্কয়ার ফিটের একটি দোকানকোঠা ক্রয়ে মার্কেট-মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই এবং ২০০৩ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে মূল চুক্তিপত্র সম্পাদন করে আমাকে আমার দোকান বুঝিয়ে দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকালিন তিন বছরে আমি দোকানকোঠার মুল্য বাবদ কিস্তিতে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করি । বর্তমানে এই দোকানকোঠার বাজারমুল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
২০২০ সালের ৬ অক্টোবর মাসে দোকান কোটা দখলে নেয় মার্কেটের মালিক পক্ষ। এর পর থেকে বিচার সালিশের কথা বলে বার বার সময় ক্ষ্যাপন করার জন্য করিমউল্লাহ মার্কেটের মালিক ছানাউল্লাহ ফাহিম, আতাউল্লাহ সাকের ও তাদের বন্ধু সিলেট সিটি কাউন্সিলার আজাদুর রহমান আজাদকে দায়ী করেন প্রবাসী নজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আমিরুল ইসলাম নজমুল পাঠিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হল।
দোকানকোঠা স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার পর আমি ভাড়া দিয়ে আসছিলাম । ২০২০ সালে এসে আমি টের পাই আমার ভাড়াটিয়া দোকানটি দখলের উদ্দেশ্যে মার্কেটের ম্যানেজারের যোগসাজসে একটি জাল দলিল করে নিয়েছেন । তাই ৩০ সেপ্টেম্বর (২০২০) ওই ভাড়াটিয়াকে বের করে দিয়ে ১লা অক্টোবর (২০২০) থেকে নতুন ভাড়াটিয়া দেই । আমি তখন বাংলাদেশে ছিলাম । নতুন ভাড়াটিয়া তুলার ৫দিনের মাথায় ৫ অক্টোবর খবর পাই আমার দেয়া ভাড়াটিয়াকে বের করে দিয়ে মার্কেটের একাংশের মালিক ছানাউল্লাহ ফাহিম দোকানকোঠা তালা মেরে দিয়েছেন। আমি ৬ অক্টোবর দুপুরে মার্কেটের অফিসে গিয়ে ছানাউল্লাহ ফাহিমের সাথে দেখা করে দোকান তালা দেয়ার কারণ জানতে চাই। তখন তিনি বলেন, “আপনি ডিফোল্ডার। আপনি নিয়মিত জমিদারীর চাঁদা পরিশোধ করেন নাই। তখন আমি নিয়মিত জমিদারির চাঁদা পরিশোধের রিসিট প্রদর্শন করি। তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি বেশি কথা বলেন। এখান থেকে চলে যান, নতুবা দোকান ভেঙ্গে ফেলবো, প্রবাসীরা দেশে আসেন কুকীর্তি করার জন্য। তখন সেখানে তাঁর আরো কিছু সহযোগী ছিলেন । সকলেই আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন । আমি প্রাণভয়ে সেখান থেকে চলে আসি। ওইদিন সন্ধ্যায় আমার লন্ডনের ফ্লাইট ছিলো তাই আমি লন্ডন ফিরে আসি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন