জিবিনিউজ24ডেস্ক//
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। সে কারণে ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে চলতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মেট্রোরেল প্রসঙ্গে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যাত্রীদের কাছে আমার অনুরোধ—ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে চলুন। এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ট্রেন। সুতরাং, প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। মেট্রোরেল ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি চলতেই থাকবে। সুতরাং, নিয়ম এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে এটি ব্যবহার করুন। প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারের সময় মনে রাখা উচিত। যাত্রীদের মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখতে ও প্রত্যেককে ট্রেনে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি।
মেট্রোরেল নির্মাণে সরকারকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। আমরা যেকোনো কাজে (উন্নয়ন প্রকল্প) যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সেই সমস্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রাথমিকভাবে বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেলের রুট তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে আমার ঘোর আপত্তি ছিল। তা হলে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হবে যেটির ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। একটা তৈরি করা এয়ারপোর্ট সেটা কখনো নষ্ট হোক আমি চাইনি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর বন্যার পানিতে চলে যাওয়ায় সব ত্রাণসামগ্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে এসেছিল। তাছাড়া, এখানে ঘন কুয়াশায় কখনো কখনো বিমান চলাচল ব্যবহৃত হয়, গতকালও সাতটি প্লেন কলকাতায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তেজগাঁও বিমানবন্দরটা কখনো বন্যা কবলিত হয় না এবং এখানে কুয়াশার পরিমাণটাও খুব কম। কিন্তু এই এয়ারপোর্টকে বন্ধ করে দিয়ে এখানে হাউজিং নির্মাণের প্রস্তাবও আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণীরা দিয়েছিলেন।
সরকার যখন প্ল্যানেটোরিয়ামের জন্য ডিজাইন করেছিল, তখন এর গম্বুজটা অনেক ওপরে করার কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেই উচ্চতা কমিয়েছি। যদি উচ্চতা ৬০-৭০ ফুট অতিক্রম করে তবে এটি (তেজগাঁও বিমানবন্দরের) এয়ার ফানেলে পড়ে যাবে। বিমান ওঠানামার জায়গাটা কিন্তু রাখতে হবে।
মেট্রোরেলের রুট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি পুরানো অ্যালাইনমেন্ট কার্যকর করা হয় তবে সরকারকে ২২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হতো। সে কারণেই আমি খামার বাড়ি এলাকা ব্যবহার করে নতুন রুট প্রস্তাব করেছি। যদিও আমাদের আঁতেল শ্রেণির তীব্র আপত্তি ছিল সংসদ ভবন নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে, খেজুর বাগান নষ্ট হবে। তাছাড়া, এই খেজুর বাগান আমাদেরই লাগানো ছিল।
তিনি জানান, লুই কানের ডিজাইন নিয়ে এসে সে সময় তিনি দেখলেন সংসদ ভবনের পাশে যে দুটি মাঠ রয়েছে তার জায়গা এই ডিজাইনে পড়ে না। তাছাড়া এই বাগানও নষ্ট হবে না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন