বিয়ে সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ আছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আল নাহিয়ান খান জয়ের নববধুর নাম মর্জিনা অাক্তার কাকন ভুঁইয়া। তিনি রাজধানীর ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অাল নাহিয়ান খান জয়ের ঘনিষ্ঠ অাত্নীয় স্বজন, শুভাকাঙ্খী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য, ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ , ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়েরসহ বিভিন্ন ইউনিটের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করে।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান অাল নাহিয়ান খান জয় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আলী খানের ছেলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন জয়।
বরিশাল জেলা স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি আল নাহিয়ান খান জয়ের। সম্পৃক্ত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগেও। এসএসসি পাস করে ঢাকা কমার্স কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। তার নেতৃত্বেই এই কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে যায়। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগে। ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে এই হলেরই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর স্থান পান কেন্দ্রীয় কমিটিতে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন আল নাহিয়ান খান জয়। এরপর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নাহিয়ানকে ‘ভারমুক্ত’ করে দেন সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর তাঁরা ‘ভারমুক্ত’ হন। তারপর গত প্রায় তিন বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ওইদিন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। শেখ হাসিনার পরামর্শে নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত হবে বলে ওইসময় জানানো হয়। ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে গণভবনে বৈঠক থেকে বের হয়ে সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এরই মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।
গত বছরের ১৩ আগস্ট দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, সর্বমোট ৩০৫২ জন আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে পেশাগত চর্চার অনুমতি পেয়েছেন তার মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয় অন্যতম। ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আল নাহিয়ান খান জয় হরতাল প্রতিরোধ এবং পিকেটারদের ককটেল বোমাসহ ধরিয়ে দেয়ায় ২০১৫ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এবং পুরস্কারের সেই অর্থ বার্ন ইউনিটে পেট্রল বোমায় দগ্ধ অসহায় মানুষের চিকিৎসার্থে দান করেছিলেন তিনি।
জয়ের বাবা আবদুল আলীম খানের হাত ধরেই বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের পথচলা। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া জয়ের ফুফু উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী জয় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান লাভ করেছিনেন বলে জানা যায়। বর্তমানে তিনি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন