দেশপ্রেমিক রাজনিতিক ও গরীব মুক্তি আন্দোলনের নেতা কমরেড নুরুল হক মেহেদী আজীবন দুর্নীতি আর কালো টাকার বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার বলে মন্তব্য করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, জমিদার পরিবারের একজন সন্তান সারাটা জীবনে কাটিয়ে দিল একটি শোষণমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।
রবিবার (১১ অক্টোবর) গণতান্ত্রিক কর্মী শিবিরের সভাপতি, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা কমরেড নুরুল হক চৌধুরী মেহেদীর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন কালে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
স্মরণসভা পালন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, গণতান্ত্রিক কর্মী শিবির আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী শহীদ, গরীবী হটাও আন্দোলনের সাইদুল হক লিটন, জাগ্রত জনতা ফোরাম সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, নজরুল সাহিত্য মজলিশ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কবির, ব্যাংকার্স এসোষিয়েশন নেতা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন নেতা নুরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ক্ষমতার রাজনীতি কমরেড মেহেদীকে টানতে পারেনি। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শ থেকে নিজেকে দূরে সরাতে পারেনি তিনি। সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনীতি এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে প্রথম সারিতেই থাকতেন তিনি।
তিনি বলেন, কমরেড মেহেদী ছিলেন বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার একজন লড়াকু সৈনিক। কমরেড মেহেদী ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের মুক্তির আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগনের মুক্তির আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের সকল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে তার সোচ্চার ভূমিকা আজকের প্রজন্মকে লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রাণীত করবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, একজন হার না মানা রাজনীতিকের প্রতিকৃতি কমরেড নুরুল হক মেহেদী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড মেহেদী এখনো গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে সরে আসেননি। এই রাজনীতিক তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই শোষণমুক্তির লড়াইয়ে বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন