সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
ছাতকে রেলের কয়েক শতাধিক অবৈধ স্থাপনা,দোকান,ঘরবাড়ি,জমি থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ না করে রহস্যজনক কারনেই স্থগিত করার ঘটনাকে ঘিরে জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ আফজলাবাদ স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও অবৈধ ভুমি দখলদারদের মধ্যে। ছাতক-সিলেট রেলওয়ে বিভাগের অনেক জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে স্থাপনা। এদের মধ্যে অনেকেই আবার সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জায়গা লিজ নিয়ে দোকানপাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছেন। সরকারী জায়গায় অবৈধ ভাবে যারা স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসসহ ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। ছাতক-সিলেট রেলপথ আধুনিকায়নের জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন।গত ১০ জানুয়ারী সকাল থেকে ছাতকবাজার রেলওয়ে বিভাগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন । রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগের ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম সফি উল্লাহ’র নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। রেলওয়ের কোয়ার্টারের ২৩টি ঘরের বসবাসকারীদের বের করে প্রতিটি দরজায় ঝুলিয়ে দেয়া হয় তালা। এছাড়া বুলডোজার ছাড়া প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা শ্রমিকের মাধ্যমে হাতুড়ি দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেন। রেলওয়ে জামে মসজিদের পাশের বাসা-বাড়ি ও সড়কের দুই পাশের দোকানগুলো রেখে প্রথম দিনের উচ্ছেদ অভিযান সমাপ্তি ঘটে। গত ১১ জানুয়ারী গোবিন্দগঞ্জ রেলগেট ও আফজলাবাদ রেল স্টেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দিয়ে তারিখ ধাষ্য করলে ও রহস্যজনক কারণে অভিযান করা হয়নি।
গোবিন্দগঞ্জবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,উচ্ছেদ আগে ৯ জানুয়ারি রোজ সোমবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে
জনৈক ইব্রাহিম আলীর দোকানে এক গোপন বৈঠক অনুষ্টিত হয়।এ বৈঠকে ছিলেন,সহকারী নির্বাহী,ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী,কানুনগো,সার্ভেয়াব। এ বৈঠক শেষে তাদেরকে একটি হলুদ খামের প্যাকেট
উপহার দেন। এ উপহার রিসিভ করেন কানুনগো রুহুল আমিন, সার্ভেয়ার দ্বীপক মল্লিক। এ উপহার প্যাকেট রিসিভ করা পর আফজলাবাদ ষ্টেশন এলাকায় নোটিশ দিয়ে ও উচ্ছেদ হয়নি। এ নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। উচ্ছেদ করার নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ না করে রেলওয়ে বিভাগের কর্মকতারা রহস্যজনক কারনেই স্থগিত করে চলে যায়। এব্যাপারে রেলওয়ের বিভাগীয় ভু- সম্পত্তি কর্মকর্তা ( ডি ই ও) মোঃ শফি উল্লাহ জানান,দ্বিতীয় দিনে ছাতকে প্রায় ৪০টির মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আফজলাবাদ রেলওয়ে স্টেশন ও গোবিন্দগঞ্জ রেলগেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের কেন হয়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বৃহস্পতিবার অভিযান হবে না। আফজলাবাদ রেলওয়ে স্টেশন ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় এক মাস পর এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন