ডিসেম্বরে ডিএমপির শ্রেষ্ঠ বিভাগ মিরপুর, ট্রাফিকে উত্তরা

  জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ডিএমপি সদর দপ্তরে ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার।

ডিএমপি জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। ট্রাফিকে উত্তরা ও গোয়েন্দা শাখায় তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা।

ক্রাইম বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালবাগ বিভাগের চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ আলম। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভাটারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মো. মোরশেদ আলম।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান ও চকবাজার থানার এসআই মামুন হোসেন। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী শিকদার। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এএসআই সঞ্জয় কুমার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন দারুসসালাম থানার এসআই রহমত উল্লাহ। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই মিকাইল মোল্লা। আর ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মামুন হোসেন।

dhakapost

এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এএসআই সঞ্জয় কুমার ও মতিঝিল থানার এএসআই মো. নুরুল ইসলাম।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো.শাহাদত হোসেন সুমা। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেপ্তারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উত্তরা পূর্ব-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের ধানমন্ডি-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রমনা বিভাগের ট্রাফিক-ধানমন্ডি জোনের সার্জেন্ট রেজাউল হক ও ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের।

এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৩টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন