জিবিনিউজ24ডেস্ক//
ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। দেশটি বলছে, ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সমুদ্রখাতের যোগাযোগ ও অবৈধভাবে মাছ আহরণ প্রতিরোধে ঢাকা সামনের দিনগুলোতে প্যারিসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইইউ অনুবিভাগের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ। অন্যদিকে ফ্রান্সের পক্ষে ছিলেন দেশটির এশিয়া সম্পর্ক বিভাগের সাধারণ রাজনৈতিক পরিচালক বারট্রান্ড লথোলারি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বারট্রান্ড লথোলারি। তিনি ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
বারট্রান্ড বলেন, প্রথমবারের মতো আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো। ফ্রান্স-বাংলাদেশ ভালো একটা সম্পর্ক উপভোগ করছে। দু’দেশের সম্পর্কের শক্ত ভিত্তি রয়েছে। ২০২২ সালটা আমাদের জন্য বিশেষ বছর ছিল। কেননা, ২০২২ সালে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে নানা খাতে সহযোগিতা বাড়ছে। আগামী দিনেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বারট্রান্ড। তিনি বলেন, আমরা চাইলে আগামী দিনে আরও নতুন নতুন উদ্যোগ ও প্রকল্প নিতে পারি। আমরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিনিময়, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে পারি।
বারট্রান্ড বলেন, এছাড়া সামরিক সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত সহযোগিতা হতে পারে, বায়ো ডায়ভারসিটি ইস্যু হতে পারে। আমাদের সহযোগিতা করার মতো অনেক সুযোগ রয়েছে। সবুজায়ন নিয়েও আমরা প্রকল্প নিতে পারি।
আগামী বছর দুই দেশের দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপ প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান বারট্রান্ড।
ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে বারট্রান্ড বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে এ অঞ্চলের সঙ্গে কাজ করতে চায় ফ্রান্স। এ ইস্যুতে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্স এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়তে চায়। বিশেষ করে, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে এবং সামুদ্রিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মুক্তভাবে সামুদ্রিক জাহাজ বা যান চলাচল, অবৈধভাবে মাছ আরোহণ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্স কাজ করতে চায়।
সংলাপে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন