অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন মোমেন

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এ সহযোগিতা চান তিনি। সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি, অবৈধভাবে অনেক লোক বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। আমরা চাই না, কেউ নির্যাতনের শিকার হোক। অবৈধভাবে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে স্থানীয় এজেন্সি কাজ করে। জেলা প্রশাসকরা যদি বিভিন্ন মিটিংয়ে অবৈধভাবে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তাহলে আমাদের লোকজন বিদেশ গিয়ে নির্যাতন শিকার হবে না।

মোমেন বলেন, আমরা নতুন মার্কেট ওপেন করেছি। আমরা লিবিয়াতে বৈধভাবে লোক পাঠাচ্ছি। অনেক যাচ্ছে। আমরা নতুন নতুন জায়গায় লোক পাঠাচ্ছি। রোমানিয়া ৩০ হাজার ভিসা দিয়েছে। এগুলো যেন সহজ হয় তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

পাসপোর্ট ইস্যুতে জেলা প্রশাসকদের বার্তা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, একজন জেলা প্রশাসক পুরো জেলার চেহারা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। আমরা বলেছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট ইস্যু করে না। আমরা বিদেশে পাসপোর্টের তথ্য সংগ্রহ করি। স্থানীয়ভাবে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। কিন্তু সেখানে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে প্রবাসীদের অনেক অসুবিধা হয়। ডিসিরা বিষয়টা দেখভাল করলে ভালো হবে। আমরা তাদের বলেছি, বিষয়টা দেখার জন্য।

প্রবাসীদের বাড়ি-ঘর দখলের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা চান মোমেন। তিনি বলেন, অনেক সময় প্রবাসীদের বাড়ি-ঘর বেদখল হওয়ায় আমাদের বদনাম হয়। যখন একজন প্রবাসী তার বাড়ি উদ্ধার করতে আসেন তখন মিথ্যা কেস দিয়ে তাকে জেলে দেওয়া হয়। এসব ব্যাপারে তারা (ডিসিরা) একটু সজাগ থাকলে এগুলোও কমে যাবে।

পর্যটন নগরীতে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়েও জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, পর্যটন নগরীতে যখন পর্যটকরা যান অনেক সময় সমস্যা হয়। ওখানে সিকিউরিটির সমস্যা থাকে। অনেক সময় ওয়াশ রুমের অভাব থাকে। ডিসিরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্যোগ নিলে অথবা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

প্রবাসীদের বিদেশি মিশনে সেবা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে আমাদের ২৮ লাখ লোক থাকে। আমার লোক কাজ করে ১১০ জন। ২৮ লাখ লোকের সেবা চাইলেই একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয় না। কোনো অভিযোগ আসলে আমরা সেটা যাচাই করে দেখি। প্রবাসীদের মূল অভিযোগ থাকে বয়স ও নাম পরিবর্তন নিয়ে। যেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করে।

তিনি বলেন, একজন পাসপোর্ট পাচ্ছে না, তার বয়স হলো ৪৫ বছর। সে বলে আমার বয়স ১৭ বছর কমান। তখন আমাদের জন্য কষ্ট হয়। এগুলো করলে আমাদের পাসপোর্টের মান তলানিতে যাবে। সেজন্য আমরা এটা করতে নারাজ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন