এক আদেশে দুর্নীতি থেকে দায়মুক্ত পাসপোর্টের ১৩ কর্মকর্তা

জিবিনিউজ24ডেস্ক//  

অবৈধ পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের দায় থেকে মুক্তি পেলেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালকসহ ১৩ কর্মকর্তা। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করা এক চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

গত ৩ জানুয়ারি মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। 

তবে এ বিষয়ে শনিবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদকের অনুসন্ধান প্রমাণিত না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়টি আমরা অবগত নই। 

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত তথাকথিত ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদের নামে অবৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয় বহির্ভূত অর্জনের অভিযোগ ছিল। 

অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের চিঠিতে। 

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শিহাব উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) জুনিয়র কনসালটেন্ট শারমিন আরা বেগম, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডেমোগ্রাফি শাখার উপপরিচালক হালিমা খাতুন সম্পা, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইসমাইল হোসেন, উপ-পরিচালক (সংস্থাপন) তারিক সালমান, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আজিজুল ইসলাম, সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঞা ও তার স্ত্রী শাফিনাজ আক্তার, মাগুড়া জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভীন নূপুর এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) সফিকুল ইসলাম।

এছাড়া বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী মেইটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান ও সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রানাও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। 

এর আগে প্রায় একই অভিযোগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল দুদক।  

 

ওই  চার্জশিটে আসামিরা ছিলেন- পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবজাউল আলম, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অফিস সহায়ক রঞ্জু লাল সরকার ও হুমায়ুন কবির, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের সাবেক উচ্চমান সহকারী ও আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর আলমাস উদ্দিন, রেকর্ড কিপার মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুল ওয়াদুদ।  

প্রধান আসামি ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহম্মেদ সৌদি আরব চলে যাওয়ায় ও স্থানীয় ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে তার নাম ঠিকানা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সম্পূরক চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে চার্জশিটে বলা হয়েছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন