ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ
দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ। মাঠে মাঠে কৃষকের ব্যস্ততা। মনের আনন্দে খুড়ছে মাটি ও বালু। বেরিয়ে আসছে লম্বা-মোটা মিষ্টি আলু। ফলনও হয়েছে বাম্পার। দাম বেশ ভালো থাকায় বালু-মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এই আলু যেন গুপ্তধনে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে মিষ্টি আলু ক্ষেতের সমাহার। ইতোমধ্যে এই ফসল সংগ্রহে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষক।জানা যায়, উপজেলার নদীর তীরবর্তী এলাকার চরবালুয়া, বড়দহ, বোচাদহসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় চলতি রবি মৌসুমে ১০০ হেক্টর জমিতে কোকি-৪০ জাতের মিষ্টি আলু আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণ মিষ্টি আলু চাষ করেছেন কৃষক। এরই মধ্যে ক্ষেতজুড়ে চলছে মিষ্টি আলু তোলার উৎসব। রোদের তেজ উপেক্ষা করে কোঁদাল দিয়ে মাটি-বালু আলগা করে বের করা হচ্ছে হাইব্রিড জাতের এই আলু।এতে বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। যার ফলে এই উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন মিষ্টি আলু উৎপাদন হতে পারে বলে কৃষক সূত্রে জানা গেছে। কন্দল জাতীয় ফসল হিসেবে এই আলু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করবেন কৃষকরা। এ থেকে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
কৃষক গোলাপী বেগম বলেন, গত বছর এই আলু করে অনেকটা লাভ পেয়েছি। চলতি মৌসুমে দুই বিঘা (৬৬ শতক) জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ করেছি। ইতোমধ্যে এ ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছি। এবার প্রায় ৮০ মণ আলু পেতে পারি।আরেক কৃষক আলম মিয়া বলেন, অল্প খরচে মিষ্টি আলু আবাদ করে অধিক লাভ করা সম্ভব। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ আলু ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, কোকি-৪০ জাতের মিষ্টি আলু দেশ-বিদেশে অনেকটাই চাহিদা রয়েছে। এই আলুচাষিদের লাভবান করতে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন