জিবিনিউজ24ডেস্ক//
হাইকোর্টের আদেশ পক্ষে আসায় দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আবারও কার্যক্রম শুরু করেছেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তবে, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম থাকবে কি না, তা অনেকটা নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপর। রওশন এরশাদ কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা আবার নির্ভর করছে ‘তৃতীয় পক্ষের’ মনোভাবের ওপর।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, নিম্ন আদালতের এ রায় স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে আপাতত কোনো বাধা নেই।
রওশন এরশাদপন্থি নেতারা বলছেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে যাওয়া হবে কি না, তা নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। তবে, রওশন এরশাদকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে অন্য একটি পক্ষের, সেটা তৃতীয় পক্ষ নামে পরিচিত; তাদের মনোভাব কী সেটাও জানতে হবে। তাই জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে আপিলে যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
ইকোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য আপিল বিভাগে যাওয়া হবে কি না, তা নির্ভর করছে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। তবে, রওশন এরশাদকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে অন্য একটি পক্ষের মনোভাব কী সেটা জানতে হবে
গত বছরের ৩১ আগস্ট ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিএম কাদেরকে না জানিয়ে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের ডাক দেন রওশন এরশাদ। এরপর দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজের জন্য জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে রওশনকে সরানোর জন্য ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে চিঠি দেয় দলটির সংসদ সদস্যরা। সেই সময় (১৭ সেপ্টেম্বর) রওশন এরশাদের পক্ষ নেওয়া অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। এরপর গত বছরের ৪ অক্টোবর পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন জিয়াউল হক মৃধা।
জিয়াউল হক মৃধা রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যদিও মামলার বাদী আমি, কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করব আমরা। ম্যাডাম রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে আপিল করব কি না।’
একই মঞ্চে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের/ ফাইল ছবি
তিনি আরও বলেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির সম্মেলন উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি এখনও আছে। কমিটির সদস্যরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৈঠকে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এরপর ম্যাডাম যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মৃধা বলেন, আমরা এমনিতে আপিলের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এখন করব কি, করব না— সেটা ঠিক করতে আরও ৪-৫ দিন সময় লাগবে।
রওশন এরশাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে ছিলেন জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সংসদের বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রায়ের পর জিয়াউল হক মৃধা সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন, আপিল করবেন কি না, জানতে। আমি উনাকে বলেছি, সেটা আপনার ওপর নির্ভর করছে। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। আপনার যা ইচ্ছা করতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন