জিবিনিউজ24ডেস্ক//
কয়েক দশকের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ৪ দিন, কিংবা ঘণ্টার হিসেবে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। প্রবল ঠান্ডা, খাদ্য-পানির অভাবে ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষের জীবিত থাকার আশাও শেষ হয়ে আসছে।
কিন্তু তারপরও, এখনও তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অনেককে। শুক্রবার সকালের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইসকেনদেরুনের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক পরিবারের ৬ জন সদস্য এবং ভূমিকম্পের এপিসেন্টার কাহরামানমারাশ থেকে সহোদর ২ কিশোরীকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা মুরাত বায়গুল সাংবাদিকদের জানান, ইসকেনদেরুন থেকে উদ্ধার করা ৬ জন একই পরিবারের সদস্য। যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে তারা বাস করতেন, ভূমিকম্পে সেটি ধসে পড়লেও সৌভাগ্যক্রমে ভবনের খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ অক্ষত ছিল। সেখানেই গাদাগাদি করে ছিলেন তারা।
বায়গুল আরও জানান, সামান্য আঘাত ও শারীরিক দুর্বলতা ব্যতীত এই ছয়জনের আর কোনো গুরুতর সমস্যা নেই।
এই ঘটনার কাছাকাছি সময়ে কাহরামানমারাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই কিশোরীকে। সম্পর্কে তারা বোন—একজনের বয়স ১৫, অপরজনের ১৩ বছর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আনতায়লা পৌর শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনের ধংসাবশেষের নিচে চাপা পড়া জীবিতদের খুঁজতে সিসমিক সেন্সর ব্যবহার করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা। সেই সেন্সরের মাধ্যমে কাহরামানমারাশ শহরের এক এলাকার একটি ধসে পড়া ভবনে দু’বোনের সন্ধান পাওয়া যায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দু’বোনের মধ্যে একজন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল। উভয়কেই উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
গত কয়েক দশকের মধ্যে ঘটা ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন