জিবিনিউজ24ডেস্ক//
ঘরে ব্যাঙের উৎপাত প্রচুর। তাই বিরক্ত হয়ে ব্যাঙ মেরে সেই ব্যাঙ রান্নাও করলেন। এরপর সেটা পুরো পরিবার নিয়ে খেলেন। যার পরিণাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে মৃত্যু। বাবা সুস্থ থাকলেও ছোট এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর আরেক মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
ভারতের ওড়িশার কেওনঝড় জেলার জোডা ব্লক এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে ব্যাঙ ঢুকে পড়ে। যা দেখে রেগে যান বছর চল্লিশের গৃহকর্তা মুনা মুন্ডা। ব্যাংটিকে মেরে তা রান্না করে ফেলেন। রাতের খাবার হিসাবে নিজেও খান, মেয়েদেরও তা খাওয়ান। রাতেই মেয়েরা বমি করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তারা।
শুক্রবার সকালে কেওনঝড় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মেয়েকে। কিন্তু তার ৬ বছরের মেয়ে সুমিত্রা চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মারা যায়। আর ৪ বছরের মেয়ে মুনিরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তারও অবস্থা ভাল নয়। অবশ্য ঐ ব্যক্তি নিজে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন।
ওড়িশার সম্বলপুরের ভিএসএস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক সঞ্জীব মিশ্র জানিয়েছেন, ব্যাঙের প্যারোটিড গ্রন্থিতে বিষ থাকে। কেউ তা খেয়ে নিলে বিষের প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া কোনও কোনও ব্যাঙের চামড়ায় নির্দিষ্ট কিছু বিষ থাকে। কেওনঝড়ের শিশুকন্যাদের ক্ষেত্রেও সেই ধরনের কোনও বিষই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র- আনন্দবাজার
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন