দেশের সব জেলা হাসপাতাল ৫০০ বেডের এবং উপজেলা হাসপাতালগুলোকে ১০০ বেডের করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে, মানুষকে সুস্থ করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছি। আগামীতে সারা দেশের প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে ৫০০ বেডের এবং উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ বেডে উত্তীর্ণ করা হবে। কিন্তু মানুষকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেবার কাজটা আপনারা যারা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। দায়িত্ব পালনে দেশপ্রেম থাকতে হবে আপনাদের। করোনায় কত ভালো কাজ করেছেন আপনারা, এখনো চেষ্টা করলেই পারবেন। প্রাইভেট ক্লিনিক, ছোট ছোট প্রাইভেট হাসপাতাল যদি সেবা দিতে পারে, নিয়মিত টেস্ট করতে পারে, আপনারা কয়েকগুণ বেশি সুবিধাসম্পন্ন ও বড় হাসপাতাল হয়েও সাধারণ মানুষকে সরকারি টাকায় ভালো সেবা দেবেন না, তা আর হবে না। এখন থেকে যাকে যেখানে অনিয়ম করতে দেখা যাবে তার বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ দিনাজপুরের এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক রংপুর বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা থেকে আগত সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

মন্ত্রী বলেন, দেশের ৪৯৬টি উপজেলায় ৪৯৬টি সরকারি উপজেলা হাসপাতাল আছে, ৬৪টি জেলায় বড় বড় হাসপাতাল আছে, ইউনিয়ন পর্যায়েও হাসপাতাল আছে, তবুও মানুষকে ছোট ছোট প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন রোগের টেস্টের জন্য মেশিন দেয়া হয়েছে, অথচ বেশির ভাগ মেশিন নষ্ট হয়ে বছরের পর বছর পড়ে আছে। সরকারি টাকায় কেনা কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, আর বাইরের ছোট ছোট ক্লিনিকে ঠিকই সব টেস্ট হচ্ছে। কই বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালের যন্ত্রপাতি তো নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে না! তাহলে সরকারি হাসপাতালের মেশিন কেন নষ্ট থাকবে?-প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, এগুলো আর চলবে না। এসব কারণে মানুষের কষ্টের আয়ের অনেক টাকা অপচয় হচ্ছে। তিনি বলেন, এই অনিয়ম বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি। এভাবে আর চলতে পারবে না। 

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক শামিউল ইসলাম সাদি, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ, রংপুর বিভাগীয় হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক হানিফ, দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, হাসপাতালের অধ্যক্ষ, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চিকিৎসকগণ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন